ইরানের ওপর মার্কিন বোমা হামলায় ক্ষিপ্ত উত্তর কোরিয়া, আমেরিকা-ইসরায়েলকে হুঁশিয়ারি, বিশ্বকে দিল কড়া বার্তা

ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় আমেরিকার সামরিক হামলার পর বিশ্বের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর স্বৈরশাসক কিম জং উন ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেছেন। তিনি ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় মার্কিন হামলার তীব্র নিন্দা করেছেন।
উত্তর কোরিয়া এটিকে জাতিসংঘ সনদের গুরুতর লঙ্ঘন বলে অভিহিত করেছে, যার মূল নীতি হল কোনো দেশের সার্বভৌমত্বের প্রতি সম্মান জানানো এবং তার অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করা। ডিপিআরকে (গণতান্ত্রিক গণপ্রজাতন্ত্রী কোরিয়া) এর পক্ষ থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই হামলা আন্তর্জাতিক আইন, আঞ্চলিক অখণ্ডতা এবং যেকোনো স্বাধীন দেশের নিরাপত্তা স্বার্থের পরিপন্থী।
উত্তর কোরিয়া আন্তর্জাতিক আইন ও জাতিসংঘের উপর প্রশ্ন তুলল
উত্তর কোরিয়া বলেছে যে, কোনো দেশের আঞ্চলিক অখণ্ডতা এবং রাজনৈতিক স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপকারী হুমকি বা বলপ্রয়োগের বিরোধিতা করা হল জাতিসংঘ সনদের মূল চেতনা ও উদ্দেশ্য, যা সমগ্র আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ও মেনে চলে। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে নিশানা করে উত্তর কোরিয়া বলেছে যে, আমেরিকা ইসরায়েলকে ভূমি দখলকারী করে তুলছে। তারা ইসরায়েলের আঞ্চলিক সম্প্রসারণকে উৎসাহিত করছে।
উত্তর কোরিয়ার পক্ষ থেকে প্রকাশিত বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে যে, মধ্যপ্রাচ্যের বর্তমান পরিস্থিতি বিশ্ব শান্তি ও নিরাপত্তার ভিত্তি নাড়িয়ে দিচ্ছে এবং এর কারণ হল ইসরায়েলের ক্রমাগত যুদ্ধ ও ভূমি সম্প্রসারণের মাধ্যমে একতরফাভাবে নিজেদের স্বার্থ পূরণ করা। এর পেছনে পশ্চিমা দেশগুলোর চিন্তাভাবনা রয়েছে, যারা এই ধরনের কার্যকলাপের অনুমতি দিয়েছে এবং উৎসাহিত করেছে।
আমেরিকা ও ইসরায়েলকে নিশানা
এছাড়াও, উত্তর কোরিয়া তার বিবৃতিতে আমেরিকা ও ইসরায়েলকে নিশানা করেছে। ডিপিআরকে অভিযোগ করেছে যে, আমেরিকা ও ইসরায়েল শান্তি বজায় রাখা এবং হুমকি দূর করার অজুহাতে বলপ্রয়োগ করেছে, যার ফলে এই অঞ্চলে উত্তেজনা আরও বেড়েছে এবং পুরো বিশ্বের নিরাপত্তা ব্যবস্থার উপর এর গুরুতর প্রভাব পড়েছে। বিবৃতির শেষে উত্তর কোরিয়া আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে আবেদন জানিয়েছে যে, আমেরিকা ও ইসরায়েলের এই শত্রুসুলভ কার্যকলাপের সম্মিলিতভাবে নিন্দা ও প্রতিবাদ করা হোক।