বেজে গেল তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের দামামা! মার্কিন হামলার পর চীন-রাশিয়ার প্রতিক্রিয়া সামনে এল, বাড়িয়ে দেবে পুরো বিশ্বের উত্তেজনা

ইসরায়েল-ইরান যুদ্ধে এখন আমেরিকা ঝাঁপিয়ে পড়েছে। এর আগে বিশ্বের বড় দেশগুলো যেমন চীন ও রাশিয়া আমেরিকাকে এই যুদ্ধে সরাসরি না নামার জন্য সতর্ক করেছিল।
কিন্তু ডোনাল্ড ট্রাম্প এই সতর্কতাকে উপেক্ষা করে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে হামলা চালিয়েছেন। তথ্য অনুযায়ী, মার্কিন বিমানবাহিনীর বি-২ বোমারু বিমানগুলো রবিবার ভোর ৪:৩০টায় ইরানের পারমাণবিক কেন্দ্রগুলোতে হামলা চালায়। এতে মাটির ৮০-৯০ মিটার নিচে নির্মিত ফোর্দো পারমাণবিক কেন্দ্রে ১৪ হাজার টন ওজনের বিশাল বোমা ফেলা হয়। অন্যদিকে নাতাঞ্জ এবং ইসফাহান পারমাণবিক কেন্দ্রগুলোতে টোমাহক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালানো হয়।
ট্রাম্প পুতিন ও জিনপিংকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ জানালেন
বিশ্লেষকদের মতে, ইরানের উপর আমেরিকার হামলা রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিন এবং চীনের রাষ্ট্রপতি শি জিনপিংয়ের প্রতি সরাসরি চ্যালেঞ্জ। দুই নেতাই সতর্ক করেছিলেন যে, এমন কোনো পদক্ষেপ তাদের যুদ্ধে নামতে বাধ্য করবে। সম্প্রতি তেহরানে কিছু চীনা পণ্যবাহী বিমান অবতরণের খবরও পাওয়া গেছে। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সোমবার রাশিয়া সফর করবেন এবং রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিনের সাথে কথা বলবেন। ইরান বলেছে যে, রাশিয়া এবং ইরান কৌশলগত অংশীদার এবং এর পরেই কোনো পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
পুতিনের ভবিষ্যদ্বাণী
যখন রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিনকে ইসরায়েল-ইরান সংঘাতের সময় সম্ভাব্য মার্কিন হামলা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল যে, এতে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের ঝুঁকি আছে কিনা, তখন তিনি স্পষ্ট করে বলেছিলেন যে, এটি কোনো কৌতুক নয়। এটি একটি বিপজ্জনক পরিস্থিতি (মধ্যপ্রাচ্যে পারমাণবিক বিপর্যয়)। আমি এটি সম্পূর্ণ গুরুত্ব সহকারে বলছি। পুরো বিশ্বে সংঘাতের পরিস্থিতি রয়েছে এবং এর সরাসরি প্রভাব সবার উপর পড়বে।
চীনের এই সতর্কতা
চীন মার্কিন হামলার (মার্কিন বিমান হামলায় চীন) নিন্দা করেছে এবং বলেছে যে ওয়াশিংটন অতীতের কৌশলগত ভুল পুনরাবৃত্তি করেছে। এর ভয়াবহ পরিণতি হবে। এটি ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধে একটি বিপজ্জনক মোড়। ইতিহাস সাক্ষী যে, মধ্যপ্রাচ্যে সামরিক হস্তক্ষেপের বিপজ্জনক পরিণতি হয়েছে। ২০০৩ সালের ইরাক যুদ্ধ এর একটি উদাহরণ।