ইরানের বিমানঘাঁটিতে ইসরায়েলের হামলা, F-5 যুদ্ধবিমান ধ্বংসের দাবি! যুদ্ধে যোগ দিল ইয়েমেন

তেল আবিব: ইসরায়েল দাবি করেছে যে তারা ইরানের দাজফুল বিমানঘাঁটিতে হামলা চালিয়ে দুটি F-5 যুদ্ধবিমান ধ্বংস করেছে। এই F-5 বিমানগুলো ইরানের বিমানবাহিনীর পুরনো বহরের অংশ। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এই ঘটনার একটি সাদাকালো ভিডিও প্রকাশ করেছে, যেখানে একটি বিমান বিধ্বস্ত হতে দেখা যাচ্ছে। ইসরায়েল আরও জানিয়েছে যে, তাদের হামলা ইসফাহান বিমানঘাঁটির আশেপাশে এবং অন্যান্য স্থানেও হয়েছে।
তবে, ইরান এখন পর্যন্ত এই হামলায় কোনো বিমান বা সামরিক সরঞ্জামের ক্ষয়ক্ষতি স্বীকার করেনি। অন্যদিকে, ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ড (আধা-সামরিক বাহিনী) জানিয়েছে যে, তারা রবিবার সকালে ইসরায়েলের উপর ৪০টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে, যার মধ্যে খোররামশাহর-৪ ক্ষেপণাস্ত্রও অন্তর্ভুক্ত ছিল।
যুদ্ধের বিস্তৃতির আশঙ্কা বৃদ্ধি
ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে মার্কিন হামলার পর যুদ্ধের আরও বিস্তৃতির আশঙ্কা বেড়েছে। ইয়েমেনের সামরিক বাহিনী ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ইরানকে সমর্থন করার ঘোষণা দিয়েছে। ইয়েমেনের সেনাবাহিনী ‘এক্স’ (সাবেক টুইটার) পোস্টে এই ঘোষণা করেছে যে, তারা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ইরানের সাথে দৃঢ়ভাবে দাঁড়িয়ে আছে। অন্যদিকে, লেবানন এই সংঘাতে যোগ দিতে অস্বীকার করেছে।
ইয়েমেনের সেনাবাহিনী ঘোষণা করেছে যে, তারা আনুষ্ঠানিকভাবে যুদ্ধে যোগ দেবে এবং অন্যান্য দেশগুলোকে অনুরোধ করেছে যেন তারা তাদের জাহাজগুলো ইয়েমেনের জলসীমা থেকে দূরে রাখে। এর আগেও ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরা হামাস ও হিজবুল্লাহকে সমর্থন করে ইসরায়েলের উপর বারবার ক্ষেপণাস্ত্র ও রকেট হামলা চালিয়েছে। একই সাথে, তারা লোহিত সাগর এবং এডেন উপসাগরে ইসরায়েল ও তার সহযোগী দেশগুলোর জাহাজগুলোকেও লক্ষ্যবস্তু করেছে। এখন ইয়েমেন আবারও ইসরায়েলকে হুঁশিয়ারি দিয়েছে।
পাকিস্তানের সমালোচনা
এদিকে, পাকিস্তান আমেরিকার ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলার সমালোচনা করেছে এবং এটিকে আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন বলে আখ্যায়িত করেছে। পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইরানের আত্মরক্ষার পূর্ণ অধিকার রয়েছে। একটি অফিসিয়াল বিবৃতিতে বলা হয়েছে যে, জাতিসংঘের সনদ অনুযায়ী ইরানকে তার সার্বভৌমত্ব এবং নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার সম্পূর্ণ অধিকার আছে।