বাবা ভাঙার ২০২৮ সাল নিয়ে করা ভবিষ্যদ্বাণী মানুষকে চমকে দিয়েছে। বাবা ভাঙা তার জীবদ্দশায় অনেক ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন, যা সত্যিও হয়েছে। তিনি দাবি করেছেন যে, আজ থেকে ৯০০ দিন পর পৃথিবী থেকে দুর্ভিক্ষ শেষ হয়ে যাবে।

এছাড়াও, একটি নতুন শক্তির উৎস আবিষ্কার হবে। এটি বৈশ্বিক শক্তি সংকট সমাধানে কার্যকর প্রমাণিত হবে। আসুন, আমরা আপনাকে তার ভবিষ্যদ্বাণী সম্পর্কে বিস্তারিত জানাই।

বাবা ভাঙা সম্পর্কে
বাবা ভাঙার জন্ম ১৯১১ সালে বুলগেরিয়ায় হয়েছিল। তার আসল নাম ছিল ভাঙেলিয়া পান্ডেভা দিমিত্রোভা। শৈশবে একটি ঝড়ের সময় এক দুর্ঘটনায় তিনি দৃষ্টিশক্তি হারান, কিন্তু এরপর তিনি এক রহস্যময় শক্তির অভিজ্ঞতা লাভ করেন, যা তাকে ভবিষ্যৎ দেখার ক্ষমতা দেয়। ইউরোপে তাকে “বলকানের নস্ট্রাডামাস” বলা হয়। সময়ের সাথে সাথে তার অনেক ভবিষ্যদ্বাণী সত্যি হয়েছে, যার মধ্যে ৯/১১ ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার হামলা, করোনাভাইরাস মহামারী, ২০০৪ সালের ধ্বংসাত্মক সুনামি এবং প্রিন্সেস ডায়ানার মৃত্যু উল্লেখযোগ্য। এই ঘটনাগুলোর নির্ভুলতা বিশ্বজুড়ে বাবা ভাঙার জনপ্রিয়তা বাড়িয়েছে।

বাবা ভাঙার ভবিষ্যদ্বাণী
বাবা ভাঙা এমন আরও অনেক ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন, যার মধ্যে দাবি করা হয়েছে যে, ২০২৫ সালে ইউরোপ বিভিন্ন অংশে বিভক্ত হয়ে যাবে। ২০৩৩ সালে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সমুদ্রের জলস্তর বাড়তে শুরু করবে। অনেক দেশ ডুবে যাবে। ২০৪৩ সালে ইউরোপের বেশিরভাগ অংশে ইসলামের শাসন প্রতিষ্ঠা হবে। ২০৪৬ সালে কৃত্রিম মানব অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের উৎপাদন দ্রুত বাড়তে শুরু করবে। ২০৬৬ সালে আমেরিকা এমন একটি অস্ত্র তৈরি করবে যা বায়ুমণ্ডল ধ্বংস করার ক্ষমতা রাখে। যদিও বাবা ভাঙার ভবিষ্যদ্বাণীগুলোর কোনো বৈজ্ঞানিক প্রমাণ নেই, তবে তার অনেক ভবিষ্যদ্বাণী সত্যি প্রমাণিত হয়েছে।

২০২৮ সালের জন্য ভবিষ্যদ্বাণী
বাবা ভাঙা ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন যে, ২০২৮ সালে পৃথিবী থেকে ক্ষুধা সম্পূর্ণভাবে শেষ হয়ে যাবে, অর্থাৎ এখন থেকে প্রায় ৯০০ দিনের মধ্যে বিশ্ব এমন এক পরিস্থিতিতে পৌঁছাবে যেখানে কাউকে ক্ষুধার্ত থাকতে হবে না। এটি আশার একটি বড় আলো, বিশেষ করে সেই দেশগুলোর জন্য যেখানে ক্ষুধা এখনও একটি গুরুতর সমস্যা। যদিও এই সমস্ত কথার কোনো বৈজ্ঞানিক প্রমাণ নেই, তবে বাবা ভাঙার পূর্ববর্তী অনেক ভবিষ্যদ্বাণী সত্যি প্রমাণিত হয়েছে, এই কারণেই মানুষ আজও তার কথাগুলোকে গুরুত্ব সহকারে নেয়।