শিব ভক্তরা শ্রাবণ মাসের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করেন, কারণ এই মাসে ভগবান শিবের পূজার গুরুত্ব অনেক বেড়ে যায়। শ্রাবণ মাস ভগবান শিবকে উৎসর্গীকৃত।

জানিয়ে রাখি, এই বছর শ্রাবণ মাসের শুরু হচ্ছে ২০২৫ সালের ১১ জুলাই থেকে, এবং শ্রাবণ পূর্ণিমার দিনে ৯ আগস্ট এটি শেষ হবে। এই দিনেই রাখীবন্ধন উৎসবও পালিত হবে। শ্রাবণ মাসে অনেকে জলাভিষেক এবং রুদ্রাভিষেক করেন। কিছু মানুষ বাড়িতে শিবলিঙ্গ স্থাপনও করেন, এবং কাওয়ড় যাত্রা শ্রাবণ মাসেই শুরু হয়। এইভাবে শ্রাবণের ৩০ দিন যেন এক উৎসবের মতো মনে হয়।

শ্রাবণ মাসে সবাই ভগবান শিবের কৃপা লাভের জন্য পূজা-অর্চনা ও ব্রত পালন করেন। ভগবান শিবের পূজার পদ্ধতি অত্যন্ত সরল, কিন্তু নিয়মগুলি কঠোর। বলা হয় যে, শিবশম্ভু কেবল এক লোটা শুদ্ধ জল নিবেদন করলেই প্রসন্ন হন। তবে নিয়মগুলি সম্পূর্ণরূপে পালন করা জরুরি। নিয়ম উপেক্ষা করলে পুণ্যের পরিবর্তে পাপের ভাগীদারও হতে পারেন। তাই জেনে নিন শ্রাবণ মাসে শিবলিঙ্গ পূজার সময় কোন ভুলগুলি করা উচিত নয়।

শিবলিঙ্গ পূজায় যে ৫টি ভুল করা উচিত নয়
১. কুমকুম, রোলি বা সিঁদুর ব্যবহার করবেন না: শিবলিঙ্গ পূজার সময় কুমকুম, রোলি বা সিঁদুর একেবারেই ব্যবহার করবেন না। কারণ ভগবান শিব একজন বৈরাগী।

২. খণ্ডিত অক্ষত নিবেদন করবেন না: খণ্ডিত অক্ষত (ভাঙা চাল) নিবেদন করবেন না। কারণ খণ্ডিত অক্ষতকে অপূর্ণ এবং অশুদ্ধ বলে মনে করা হয়।

৩. মাংস-মদিরা সেবনের পর পূজা নয়: মাংস-মদিরা সেবনের পর শিবলিঙ্গের পূজা করা উচিত নয়। এটি সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ বলে গণ্য করা হয়।

৪. তুলসী পাতা নিবেদন করবেন না: শিবলিঙ্গে তুলসী পাতা নিবেদন করাও নিষিদ্ধ। তাই শিবলিঙ্গে বা শিবজির কোনো পূজাতেই তুলসী পাতা ব্যবহার করবেন না।

৫. শঙ্খ দিয়ে জল নিবেদন করবেন না: পৌরাণিক কাহিনী অনুসারে, শিবজি শঙ্খচূড় নামক রাক্ষসকে বধ করেছিলেন। শঙ্খচূড় ভস্ম হওয়ার পর তার হাড় দিয়েই শঙ্খের সৃষ্টি হয়েছিল। এই কারণেই শিবলিঙ্গে শঙ্খ দিয়ে জল নিবেদন করার বিধান নেই।