ইরানের ওপর ইসরায়েলের আঘাত! আইডিএফের দাবি – ৬টি সামরিক বিমানবন্দর, ১৫টি যুদ্ধবিমান ধ্বংস

ইরানের ওপর ইসরায়েলের আঘাত! আইডিএফের দাবি – ৬টি সামরিক বিমানবন্দর, ১৫টি যুদ্ধবিমান ধ্বংস

পশ্চিম এশিয়ায় পরিস্থিতি দ্রুত খারাপ হচ্ছে। আমেরিকা কর্তৃক ইরানের তিনটি প্রধান পারমাণবিক ঘাঁটিতে হামলার পর এই অঞ্চলে সামরিক অচলাবস্থা আরও গভীর হয়েছে।

এই হামলার প্রতিক্রিয়ায় ইরান ইসরায়েলের প্রধান শহর তেল আভিভ এবং হাইফায় ক্ষেপণাস্ত্রের বৃষ্টি নামিয়েছিল। এর পরপরই ইসরায়েলও আক্রমণাত্মক অবস্থান নিয়ে ইরানের সামরিক সক্ষমতার উপর বড় হামলা চালায়। এখন ইসরায়েলি ডিফেন্স ফোর্সেস (IDF) দাবি করেছে যে, তারা ইরানের ছয়টি সামরিক বিমানবন্দরকে লক্ষ্যবস্তু করে ১৫টি যুদ্ধবিমান এবং হেলিকপ্টার ধ্বংস করেছে।

আইডিএফের দাবি – ইরানি বিমানবাহিনীর ব্যাপক ক্ষতি
আইডিএফ জানিয়েছে যে, ইরানের যে বিমানগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছিল, সেগুলো ইসরায়েলি বিমানগুলিতে হামলা এবং ইসরায়েলের অভিযান বন্ধ করার উদ্দেশ্যে তৈরি করা হচ্ছিল। এই অভিযানে হেলিকপ্টার সহ মোট ১৫টি বিমান যুদ্ধযন্ত্র ধ্বংস করার দাবি করা হয়েছে।

کرمانশাহে ক্ষেপণাস্ত্র ঘাঁটিতেও হামলা
আইডিএফের বিবৃতি অনুসারে, তাদের সামরিক গোয়েন্দা সংস্থার তথ্যের ভিত্তিতে ইরানের কرمانশাহ অঞ্চলে ভূমি থেকে ভূমিতে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্রের বেশ কয়েকটি উৎক্ষেপণ এবং মজুদের স্থানও ধ্বংস করা হয়েছে। এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সম্ভাব্য হামলার জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছিল।

ইসরায়েলের উদ্দেশ্য: আকাশপথে আধিপত্য ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা
আইডিএফ স্পষ্ট করেছে যে, তারা ইরানি শাসনের সামরিক সক্ষমতাকে ক্রমাগত দুর্বল করছে এবং ভবিষ্যতেও হামলা জোরদার করবে। তাদের উদ্দেশ্য হলো ইসরায়েলের আকাশপথে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং আঞ্চলিক আকাশপথে আধিপত্য বজায় রাখা।

এই ইসরায়েলি হামলা এমন সময়ে হলো যখন একদিন আগে ইরান মার্কিন বিমান হামলার প্রতিক্রিয়ায় ইসরায়েলের উপর ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছিল। আমেরিকা কর্তৃক ইরানের ফোর্দো, নাতাঞ্জ এবং ইসফাহান পারমাণবিক স্থানগুলিতে বোমা হামলার পরপরই ইরানের প্রতিক্রিয়া এসেছিল এবং এখন ইসরায়েলও তার সামরিক অভিযান আরও এগিয়ে নিয়ে গেছে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *