পুণেতে দুদিন ধরে ছিল অলন্দি থেকে সন্ত জ্ঞানেশ্বর মহারাজ এবং দেহু থেকে সন্ত তুকারাম মহারাজের পালকি। দুদিন থাকার পর এই পালকিগুলো পন্ধরপুরের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছে। এই বছর পালকি অনুষ্ঠানের ভিড় পরিমাপের জন্য পুণে পুলিশ আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) প্রযুক্তি ব্যবহার করেছে।

প্রয়াগরাজে অনুষ্ঠিত কুম্ভমেলার সময়ও ভিড় পরিমাপের জন্য এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছিল। সেই আদলেই পুণেতে প্রথমবারের মতো ভিড় পরিমাপের জন্য এআই ক্যামেরা ব্যবহার করা হয়েছে। এআই ক্যামেরার মাধ্যমে জানা গেছে যে, পালকি অনুষ্ঠানে পুণেতে প্রায় পাঁচ লক্ষ ওয়ারকারী (ভক্ত) এসেছিলেন।

কোন পালকি অনুষ্ঠানে কত মানুষ ছিলেন?
সন্ত জ্ঞানেশ্বর মহারাজ এবং সন্ত তুকারাম মহারাজের পালকি অনুষ্ঠান ২০ জুন পুণেতে প্রবেশ করে। পুণের মানুষজন এবং প্রশাসনও অত্যন্ত উৎসাহের সাথে এই পালকি অনুষ্ঠানকে স্বাগত জানায়। পালকির পথে বিভিন্ন স্থানে অভ্যর্থনা কক্ষ তৈরি করা হয়েছিল। ভিড় পরিমাপের জন্য পুণে পুলিশের পক্ষ থেকে এআই-এর ব্যবস্থা করা হয়েছিল। পুণের বিশ্রান্তওয়াড়ি, সাঞ্চেতী চক, গুডলাক চক, ভৈরবনাথ মন্দির, গাদীতাল এবং দিবে ঘাট-এর মতো প্রধান স্থানগুলোতে এআই ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছিল। এর মাধ্যমে পালকি অনুষ্ঠানে আসা ওয়ারকারীদের সংখ্যা গণনা করা হয়।

মাউলি’র পালকির সাথে ২ লক্ষ ৯৫ হাজার ওয়ারকারীর আসার কথা নথিভুক্ত করা হয়েছে। অন্যদিকে, এআই প্রযুক্তির সাহায্যে তুকোবা’র পালকির সাথে ১ লক্ষ ৯৫ হাজার ওয়ারকারী পুণে শহরে প্রবেশ করেছেন। কমিশনার অমিতেশ কুমার জানিয়েছেন যে, পুণে পুলিশ প্রথমবারের মতো এআই ক্যামেরা এবং প্রযুক্তি ব্যবহার করে ওয়ারকারীদের ভিড় সঠিকভাবে পরিমাপ করেছে।

সন্ত তুকারাম মহারাজের পালকি ইয়াভাত-এর পথে

সন্ত জ্ঞানেশ্বর মাউলি এবং সন্ত তুকারামের পালকি দিবে ঘাট অতিক্রম করে পন্ধরপুরের দিকে এগিয়ে গেছে। জগদ্গুরু সন্ত তুকারাম মহারাজের পালকি রবিবার রাতে লোনি কালভোরে থেমেছিল। সোমবার সকালে পালকি লোনি কালভোর থেকে ইয়াভাতের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। হাভেলি তালুকের মানুষ লোনি কালভোরে পালকিকে বিপুল উৎসাহের সাথে স্বাগত জানিয়েছে।