খামেনেই-এর শীর্ষ কর্মকর্তার ইঙ্গিত, ‘আমেরিকার ৩টি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেবে ইরান’

আমেরিকার বিরুদ্ধে ইরানের পাল্টা পদক্ষেপ কেমন হবে? জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে আলি খামেনেই-এর (Ali Khamenei) শীর্ষ কর্মকর্তা এই বিষয়ে ইঙ্গিত দিয়েছেন। ইউএনএসসি (UNSC)-তে একটি প্রস্তাব নিয়ে আলোচনার সময় ইরানি রাষ্ট্রদূত আমির ইরাওয়ানি (Amir Iravani) বলেছেন যে, “আমরা অবশ্যই জবাব দেব, তবে নিজেদের সময়মতো।”
আল আরাবিয়া-র (Al Arabiya) তথ্য অনুযায়ী, ইরাওয়ানি আনুপাতিক জবাব দেওয়ার কথা বলেছেন। অর্থাৎ, আমেরিকা ইরানের যত ক্ষতি করেছে, ইরানও আমেরিকার ততটা ক্ষতি করবে।
তাহলে কি ৩টি ঘাঁটিতে হামলা হবে?
ইরাওয়ানির ‘আনুপাতিক জবাব’-এর পর এই প্রশ্ন উঠছে যে, ইরান কি শুধুমাত্র আমেরিকার ৩টি ঘাঁটিকেই ধ্বংস করবে? কারণ আমেরিকা বি-২ বোমারু বিমানের সাহায্যে ইরানের নাতাঞ্জ (Natanz), ফোরডো (Fordow) এবং ইসফাহান (Isfahan) পারমাণবিক ঘাঁটিগুলো ধ্বংস করে দিয়েছে।
আমেরিকা এটিকে পারমাণবিক কর্মসূচি শেষ করার পদক্ষেপ বলে অভিহিত করেছে। ইরানের এই ৩টি ঘাঁটিতেই সবচেয়ে বেশি ইউরেনিয়াম মজুত করা হয়েছিল। ইউরেনিয়ামের মাধ্যমে ইরান পারমাণবিক বোমা তৈরির প্রস্তুতি নিচ্ছিল।
মার্কিন হামলার পর বলা হচ্ছে যে, ইরানও তার ৩টি ঘাঁটি নিশানা করতে পারে। ইরাওয়ানি এও বলেছেন যে, আমেরিকার উপর হামলা করার জন্য তাদের কাছে ৫টি বৈধ কারণ আছে।
রাশিয়ার মনোভাবের দিকে ইরানের নজর
ইরান রাশিয়ার সমর্থনের অপেক্ষা করছে। ইরানের বিদেশ মন্ত্রী আব্বাস আরাগচি (Abbas Araghchi) রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের (Vladimir Putin) সাথে দেখা করেছেন। পুতিন এই সাক্ষাতে মার্কিন হামলাকে ভুল বলেছেন। তবে, ইরান আশা করছে যে, পুতিন শুধু বিবৃতি না দিয়ে তাদের বাস্তব সাহায্য দেবেন।
ইরান পুতিনের কাছ থেকে অস্ত্র এবং পারমাণবিক সরঞ্জাম পাওয়ার চেষ্টা করছে। যদি পুতিন শক্তিশালী সমর্থন দেন, তাহলে ইরান মার্কিন ঘাঁটিতে হামলা করতে পারে।
উপসাগরীয় ১৯টি দেশে মার্কিন ঘাঁটি
উপসাগরীয় ১৯টি দেশে আমেরিকার সামরিক ঘাঁটি রয়েছে। আমেরিকা সিরিয়া, কাতার-এর মতো দেশগুলোতে বড় বড় ঘাঁটি তৈরি করেছে। শুধুমাত্র মধ্যপ্রাচ্যেই আমেরিকার ৫০ হাজার সৈন্য মোতায়েন আছে। ইরানের সাথে উত্তেজনার কারণে এই ঘাঁটিগুলোর উপর ঝুঁকি বেড়েছে।