কাতারের রাজধানী দোহায় সোমবার ইরান আমেরিকার আল-উদাইদ বিমানঘাঁটিকে লক্ষ্যবস্তু করে হামলা চালিয়েছে। এই হামলায় কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। তবে এই হামলাকে ইরানের পক্ষ থেকে আমেরিকাকে দেওয়া একটি জবাব হিসেবে দেখা হচ্ছে।

পাঁচটি ভিডিওর মাধ্যমে দেখুন কীভাবে ইরান দোহায় মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগ স্বীকার করেছে যে, ইরান তাদের ঘাঁটিকে লক্ষ্যবস্তু করেছে। তবে কাতার ছাড়া অন্য কোনো জায়গায় মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে হামলার কোনো খবর পাওয়া যায়নি।

কাতারের আকাশে ক্ষেপণাস্ত্র
ইরানের পক্ষ থেকে প্রায় ১০টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়েছে। হামলার পর দোহায় আতঙ্কজনক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়।

কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাজিদ আল আনসারি সোমবার বলেছেন যে, “আমরা এটিকে কাতারের সার্বভৌমত্ব, এর আকাশসীমা, আন্তর্জাতিক আইন এবং জাতিসংঘের সনদের চরম লঙ্ঘন বলে মনে করি। আমরা নিশ্চিত করছি যে, কাতার আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী এই আগ্রাসনের প্রকৃতি ও মাত্রার সমান সরাসরি জবাব দেওয়ার অধিকার সংরক্ষণ করে।” তিনি আরও বলেন যে, কাতার ইরানি রেভল্যুশনারি গার্ডের আল-উদাইদ বিমানঘাঁটিকে লক্ষ্য করে চালানো হামলার তীব্র নিন্দা জানায়। আনসারি বলেন, “আমরা নিশ্চিত করছি যে, কাতারের বিমান প্রতিরক্ষা সফলভাবে হামলাটি প্রতিহত করেছে এবং ইরানি ক্ষেপণাস্ত্রগুলিকে আটকে দিয়েছে। আমরা এই বিষয়েও জোর দিচ্ছি যে, এই ধরনের আক্রমণাত্মক সামরিক কর্মকাণ্ডের ধারাবাহিকতা অঞ্চলে নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা দুর্বল করবে, যা আন্তর্জাতিক শান্তি ও সুরক্ষার জন্য ধ্বংসাত্মক পরিণতি ডেকে আনতে পারে।”

তিনি বলেছেন যে, কাতার অবিলম্বে সমস্ত সামরিক অভিযান বন্ধ করার এবং আলোচনার জন্য গুরুত্ব সহকারে টেবিলে ফিরে আসার দাবি জানাচ্ছে। আনসারি এই বিষয়ে জোর দিয়েছেন যে, কাতার প্রথম দেশগুলির মধ্যে একটি, যারা অঞ্চলে ইসরায়েলের ক্রমবর্ধমান আগ্রাসনের ঝুঁকির বিরুদ্ধে সতর্ক করেছিল। তিনি এই বিষয়ে জোর দিয়েছেন যে, বর্তমান সংকট কাটিয়ে উঠতে এবং অঞ্চলের নিরাপত্তা ও সেখানকার মানুষের শান্তি নিশ্চিত করার জন্য আলোচনা করাই একমাত্র পথ। আনসারি বলেন যে, অঞ্চলের উত্তেজনা বিবেচনা করে নিরাপত্তা ও সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে মার্কিন ঘাঁটিটি আগেই খালি করে নেওয়া হয়েছিল।

এর আগে, ইরাক ও কাতারে অবস্থিত মার্কিন সামরিক ঘাঁটিগুলিতে ইরান ছয়টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছিল। এই সবের মধ্যে, কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সোমবার ইরানের হামলার পর সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে বিমান চলাচল ‘সাময়িকভাবে’ স্থগিত করার ঘোষণা করেছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একটি বিবৃতিতে বলেছে যে, “তাদের নাগরিক, বাসিন্দা এবং দর্শনার্থীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য কাতারের আগ্রহের অংশ হিসেবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ অঞ্চলের সাম্প্রতিক ঘটনার ভিত্তিতে সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে দেশের আকাশসীমায় বিমান চলাচল সাময়িক স্থগিত ঘোষণা করেছে।” মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে ইরানের নিক্ষেপ করা ক্ষেপণাস্ত্রগুলিতে কোনো বেসামরিক বা সামরিক কর্মীর মৃত্যু বা আহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি। কাতারের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সোমবার বলেছে যে, “আল্লাহর রহমত, সশস্ত্র বাহিনীর সতর্কতা এবং সতর্কতামূলক ব্যবস্থার জন্য, এই ঘটনায় কারো মৃত্যু বা আহত হওয়ার কোনো ঘটনা ঘটেনি।”

कतर में ईरान ने दागी कई सारे मिसाइल

लाइव देखें: https://t.co/awnsV47x7F #IsraelIran #IsraelIranwar pic.twitter.com/Df2O96HQZP

— NDTV India (@ndtvindia) June 23, 2025