ভুল খাদ্যাভ্যাসের কারণে বেশিরভাগ মানুষ ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যায় ভোগেন। ইউরিক অ্যাসিড শরীরের একটি বর্জ্য পদার্থ যা পিউরিন থেকে তৈরি হয়। কিডনি পিউরিনকে প্রস্রাবের মাধ্যমে শরীর থেকে বের করে দেয়।

তবে, যখন শরীরে পিউরিনের পরিমাণ বেড়ে যায়, তখন এটি স্ফটিক আকারে হাড়ের জয়েন্টগুলিতে জমা হতে শুরু করে। যার কারণে জয়েন্টে ব্যথার সমস্যা দেখা দেয়। দীর্ঘ সময় ধরে ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা থাকলে শরীর ভেতর থেকে গলতে পারে। আসুন, আয়ুর্বেদ চিকিৎসক রবিন শর্মা-এর কাছ থেকে জেনে নিই ইউরিক অ্যাসিড কমাতে কী খাওয়া উচিত।

ইউরিক অ্যাসিড কমানোর ঘরোয়া উপায়
ইউরিক অ্যাসিড কমানোর জন্য আয়ুর্বেদ চিকিৎসক রবিন শর্মা একটি ঘরোয়া পানীয়ের কথা বলেছেন। এই পানীয়টি পান করলে ইউরিক অ্যাসিড কমানো যেতে পারে। আসুন জেনে নিই ইউরিক অ্যাসিড কমানোর পানীয় তৈরির পদ্ধতি।

কীভাবে পাউডার তৈরি করবেন:
আধা চামচ ত্রিপলা পাউডার নিন এবং এতে আধা চামচ শুকনো আদার গুঁড়ো (सोंठ पाउडर) মিশিয়ে নিন।
এবার এক গ্লাস জল নিন, এই জলে দুটি পাউডার মিশিয়ে নিন।
দিনে একবার এই পানীয়টি পান করুন।
যদি ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা খুব বেশি হয়, তবে দিনে ২ বার এই জল পান করতে পারেন।
কোন জিনিসগুলো খেলে ইউরিক অ্যাসিড বাড়ে
পিউরিনযুক্ত খাবার বেশি খেলে ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা বাড়তে পারে। বিয়ার, অ্যালকোহল, রেড মিট, অর্গান মিট, সিফুডস, কোল্ড ড্রিংকস ইত্যাদিতে পিউরিনের মাত্রা বেশি থাকে। ইউরিক অ্যাসিড রোগীদের এই জিনিসগুলো খাওয়া থেকে বিরত থাকা উচিত।

ইউরিক অ্যাসিডের লক্ষণ
ঘাঁটু এবং বুড়ো আঙুলে ব্যথা হওয়া উচ্চ ইউরিক অ্যাসিডের একটি বড় লক্ষণ হতে পারে।
সিঁড়ি উঠতে অসুবিধা হওয়াও উচ্চ ইউরিক অ্যাসিডের ইঙ্গিত হতে পারে।
সকালে পায়ের গোড়ালি বা জয়েন্টগুলোতে ব্যথা হওয়াও ইউরিক অ্যাসিডের ইঙ্গিত হতে পারে।
প্রস্রাবের সময় জ্বালাপোড়া এবং প্রস্রাবে ফেনা আসা ইউরিক অ্যাসিডের ইঙ্গিত হতে পারে।
ঘুম সম্পূর্ণ হওয়ার পরেও শরীরে ক্লান্তি এবং দুর্বলতা থাকা ইউরিক অ্যাসিডের লক্ষণ হতে পারে।