ব্রহ্মস-এর চেয়েও বিপজ্জনক, ভারতের বাঙ্কার বাস্টার কাঁপিয়ে দেবে শত্রুর পারমাণবিক ঘাঁটি

ব্রহ্মস-এর চেয়েও বিপজ্জনক, ভারতের বাঙ্কার বাস্টার কাঁপিয়ে দেবে শত্রুর পারমাণবিক ঘাঁটি

নয়াদিল্লি। ভারতের কাছে এমন বেশ কিছু ক্ষেপণাস্ত্র এবং ফাইটার জেট রয়েছে যা পাকিস্তানের পারমাণবিক ঘাঁটি ধ্বংস করতে সক্ষম। অপারেশন সিন্ধুর সময় ভারত নুর খান বিমান ঘাঁটিতে হামলা চালিয়ে পাকিস্তানকে এর ট্রেলার দেখিয়েছিল।

উল্লেখ্য, এই বিমান ঘাঁটির কাছেই কিরানা হিলস অবস্থিত, যেখানে পাকিস্তানের পারমাণবিক অস্ত্রের ভাণ্ডার রয়েছে। ভারতের কাছে এমন ৫টি অস্ত্র রয়েছে যা মুহূর্তের মধ্যে পাকিস্তানের পারমাণবিক ঘাঁটিগুলিকে ধ্বংস করতে সক্ষম।

ভারতের ৫টি শক্তিশালী অস্ত্র
১. অগ্নি-৫ ব্যালিস্টিক মিসাইল: এটি নিউক্লিয়ার ওয়ারহেড (পারমাণবিক বোমা বা অস্ত্র) বহন করতে সক্ষম। এর পাল্লা ৫৮০০ কিলোমিটারের বেশি। এই কারণেই এটিকে আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক মিসাইল অর্থাৎ আইসিবিএমও বলা হয়। অগ্নি-৫ মিসাইল এমআইআরভি (MIRV) প্রযুক্তি দিয়েও সজ্জিত করা হয়েছে, যা এটিকে ‘মিসাইল বাস’ উপমা দিয়েছে।

২. ব্রহ্মস সুপারসোনিক ক্রুজ মিসাইল: প্রাথমিকভাবে এর পাল্লা ছিল ২৯০ কিলোমিটার, যা এখন বাড়িয়ে ৪০০ থেকে ৪৫০ কিলোমিটার করা হয়েছে। ভারত এখন এটিকে হাইপারসোনিক বানানোর চেষ্টা করছে, যা ১৫০০ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুকেও ধ্বংস করতে পারবে। উল্লেখ্য, অপারেশন সিন্ধুর সময় ভারত এই ক্ষেপণাস্ত্র দিয়েই নুর খান সহ ১১টি বিমান ঘাঁটি ধ্বংস করেছিল। এরপর পাকিস্তান নতজানু হয়েছিল।

৩. রাফাল ফাইটার জেট: ভারত বিমান বাহিনীর জন্য ফ্রান্স থেকে অত্যাধুনিক রাফাল ফাইটার জেট আমদানি করেছে। এই জেট বিপজ্জনক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে সজ্জিত, যা মুহূর্তের মধ্যে যেকোনো লক্ষ্যবস্তুকে ধ্বংস করতে সক্ষম। বিশেষ করে স্ক্যাল্প মিসাইল শত্রুদের জন্য কম ধ্বংসাত্মক নয়। এর মাধ্যমে পাকিস্তানের পারমাণবিক ঘাঁটি ধ্বংস করা বেশ সহজ। রাফাল জেট ৪.৫ প্রজন্মের বিমান হিসেবে বিবেচিত।

৪. ডিআরডিও ইটি-এলডিএইচসিএম হাইপারসোনিক মিসাইল: ডিআরডিও এই হাইপারসোনিক মিসাইল তৈরি করছে। জানানো হয়েছে যে, শীঘ্রই এর পরীক্ষা করা হবে। এটি স্ক্র্যামজেট ইঞ্জিন দিয়ে সজ্জিত। পাল্লা সম্পর্কে কোনো সরকারি তথ্য দেওয়া হয়নি, তবে এটি মধ্যম পাল্লার হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এটি ম্যাক ৮ অর্থাৎ ঘণ্টায় ১১০০০ কিলোমিটার বেগে লক্ষ্যবস্তুর দিকে যেতে সক্ষম হবে। এর ফলে এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমের পক্ষে এটিকে ট্র্যাক করা সহজ হবে না। পুরো পাকিস্তান এর পাল্লার মধ্যে থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।

৫. এসইউ-৩০ এমকেআই ফাইটার জেট: এটি অনেকবার ভারতের পাশে দাঁড়িয়েছে। অপারেশন সিন্ধুর সময়ও এটি ব্যবহার করা হয়েছিল। পাকিস্তানে এর দ্বারা ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ হয়েছিল। এসইউ-৩০ এমকেআই ফাইটার জেটে বিভিন্ন ধরনের দেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র ফিট করা যেতে পারে, যার ফলে এর ভয়াবহতা এবং মারাত্মক হওয়ার ক্ষমতা অনেক বেড়ে যায়। এতে ব্রহ্মস ক্রুজ মিসাইলও ফিট করা যেতে পারে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *