সরকার ৮ম বেতন কমিশন নিয়ে বড় পরিবর্তন এনেছে, সম্পূর্ণ তথ্য দেখুন

৮ম বেতন কমিশন অনুমোদিত (8th Pay Commission Approved): ৮ম বেতন কমিশন নিয়ে একটি বড় আপডেট সামনে এসেছে। সরকার কেন্দ্রীয় কর্মচারী এবং পেনশনভোগীদের বেতন ও পেনশন কাঠামোতে পরিবর্তনের অনুমোদন দিয়েছে, যার ফলে কেন্দ্র সরকারের কর্মচারী এবং পেনশনভোগীরা উপকৃত হবেন।
আশা করা হচ্ছে যে, সংশোধিত বেতন ১ জানুয়ারি ২০২৬ থেকে কার্যকর হবে।
যদিও, এখনও পর্যন্ত কেন্দ্র সরকার এর শর্তাবলী বা কমিশনের সদস্যদের নাম ঘোষণা করেনি। তবে ১ কোটিরও বেশি কর্মচারী এবং পেনশনভোগী বেতনের পরিবর্তনের বিষয়ে স্পষ্টতার জন্য অপেক্ষা করছেন, যা তাদের প্রত্যাশা বাড়িয়ে তুলছে।
ফিটমেন্ট ফ্যাক্টর হবে একটি বড় সিদ্ধান্ত
নতুন বেতন কাঠামো মূলত ফিটমেন্ট ফ্যাক্টর (Fitment Factor)-এর উপর নির্ভর করবে। ৭ম বেতন কমিশনে এই ফ্যাক্টর ২.৫৭ নির্ধারণ করা হয়েছিল। মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, ৮ম বেতন কমিশনের প্রাথমিক অনুমান অনুযায়ী এটি ২.৫ থেকে ২.৮৬ এর মধ্যে হতে পারে। কর্মচারী সংগঠনগুলো ৩.৬৮ এর উচ্চ গুণক-এর উপরও জোর দিয়েছে, যার ফলে কর্মচারীদের আয়ে উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি হতে পারে। এই ফিটমেন্ট ফ্যাক্টর মূল বেতন এবং অন্যান্য ভাতা নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ভাতা এবং পেনশনেও বড় পরিবর্তনের আশা করা হচ্ছে।
মহंगाई ভাতা ইতিমধ্যেই ৫০% ছাড়িয়েছে
প্রতিটি বেতন সংশোধনের সাথে, সাধারণত মহंगाई ভাতা (Dearness Allowance – DA) মূল বেতনের সাথে মিশে যায়। মহার্ঘ ভাতা ইতিমধ্যেই ৫০% ছাড়িয়ে গেছে, যা নতুন কাঠামো আসার পর পুনরায় সেট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এর অর্থ হবে যে, ডিএ-এর ৫০% মূল বেতনে যোগ করা হবে এবং ডিএ-এর গণনা আবার শূন্য থেকে শুরু হবে। এছাড়াও বাড়ি ভাড়া ভাতা (House Rent Allowance – HRA), পরিবহন ভাতা (Transport Allowance) এবং সম্পর্কিত সুবিধাগুলোও সংশোধন করা যেতে পারে। এই পরিবর্তনগুলো পেনশনভোগীদেরও উপকৃত করবে, যার ফলে তাদের মাসিক পেনশন বাড়বে এবং ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতির মোকাবিলায় তাদের সাহায্য করবে। এই পরিবর্তন তাদের জীবনকে আরও আরামদায়ক করে তুলবে।
কারা প্রভাবিত হবেন?
৮ম বেতন কমিশন প্রায় ৫০ লাখ কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারী এবং ৬৫ লাখ পেনশনভোগীকে প্রভাবিত করবে। কিছু রাজ্য সরকার পরে এর সুপারিশগুলো অনুসরণ করতে পারে, যদিও তারা তা করতে বাধ্য নয়। বর্তমানে, কর্মচারীরা কমিশনের আনুষ্ঠানিক গঠনের জন্য অপেক্ষা করছেন যাতে প্রক্রিয়া শুরু হতে পারে।
যদি পূর্ববর্তী সময়সীমা দেখা হয়, তাহলে প্যানেলকে তার রিপোর্ট জমা দিতে ১৮ থেকে ২০ মাস সময় লাগতে পারে। এর অর্থ হলো রিপোর্টটি ২০২৫ সালের শেষ বা ২০২৬ সালের শুরুতে আসতে পারে, যার পরেই পুরো পরিস্থিতি পরিষ্কার হবে।