ট্রাম্প ইসরায়েল-ইরান নিয়ে ব্যস্ত, ওদিকে জার্মানি-ইতালি সোনা নিয়ে খেলা করল, যুক্তরাষ্ট্র বড় ধাক্কা খেল

ইরান ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি: ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধে আমেরিকাও হস্তক্ষেপ করেছে। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেছেন যে, উভয় দেশই যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে। এর মধ্যেই আরও একটি চমকপ্রদ খবর সামনে এসেছে।
জার্মানি এবং ইতালির ওপর নিউ ইয়র্ক থেকে তাদের সোনা সরিয়ে নেওয়ার জন্য বেশ চাপ সৃষ্টি হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে যে, ট্রাম্প আমেরিকান ফেডারেল রিজার্ভের ওপর বারবার চাপ সৃষ্টি করছেন।
‘ফাইন্যান্সিয়াল টাইমস’ (Financial Times)-এর একটি প্রতিবেদন অনুসারে, ডি লিঙ্কে (Die Linke) পার্টির প্রাক্তন সাংসদ ফাবিও দে মাসি (Fabio De Masi) বলেছেন যে, কঠিন সময়ে ইউরোপ বা জার্মানিতে আরও সোনা আনার অনেক শক্তিশালী কারণ রয়েছে। ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিল (World Gold Council)-এর তথ্য অনুযায়ী, জার্মানি এবং ইতালির কাছে আমেরিকার পর বিশ্বের দ্বিতীয় এবং তৃতীয় বৃহত্তম সোনার মজুদ রয়েছে।
জার্মানি এবং ইতালি তাদের সোনার একটি বড় অংশ নিউ ইয়র্কে রাখে
জার্মানির কাছে ৩,৩৫২ টন এবং ইতালির কাছে ২,৪৫২ টন সোনা রয়েছে। উভয় দেশই তাদের সোনার প্রায় এক-তৃতীয়াংশের বেশি নিউ ইয়র্কের ফেডারেল রিজার্ভে রাখে। রিপোর্ট অনুযায়ী, আমেরিকায় রাখা তাদের সোনার বাজার মূল্য ২৪৫ বিলিয়ন ডলারের বেশি। মূলত, নিউ ইয়র্ককে লন্ডনের পাশাপাশি সোনার ব্যবসার সবচেয়ে বড় কেন্দ্র হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
জার্মানি এবং ইতালি কেন সোনা ফিরিয়ে নিতে পারে
ট্রাম্পের অনিশ্চিত নীতি এবং বিশ্বজুড়ে ক্রমবর্ধমান রাজনৈতিক অস্থিরতা ইউরোপের কিছু অংশে সোনা ফিরিয়ে আনার বিতর্ককে উস্কে দিচ্ছে। এই মাসের শুরুতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেছিলেন যে, যদি আমেরিকান সেন্ট্রাল ব্যাংক সুদের হার না কমায়, তাহলে তাদের কিছু করতে বাধ্য করা হতে পারে। জার্মানিতে সোনা ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য বেশ জোর দেওয়া হচ্ছে। দেশের সব রাজনৈতিক দল এই বিষয়ে একমত।
ট্রাম্প আমেরিকান ফেডারেল রিজার্ভের চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েলের (Jerome Powell) ওপর অনেকবার কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন। তিনি সুদের হার নিয়ে বেশ অসন্তুষ্ট। এর মধ্যেই ইরান ও ইসরায়েল যুদ্ধ শুরু করেছে এবং আমেরিকাও এতে জড়িয়ে পড়েছে। তাই এই সমস্ত কারণ বিবেচনা করে জার্মানি এবং ইতালির ওপর সোনা ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে।