ইসরায়েলের বিভিন্ন শহরে লাল সাইরেন বাজতে দেখা যাচ্ছে। যুদ্ধবিরতির পরেও ইরানের হামলা অব্যাহত রয়েছে। মিডিয়া রিপোর্টে দাবি করা হচ্ছে যে, যুদ্ধবিরতির পরও ইরান ইসরায়েলে ব্যালিস্টিক মিসাইল দিয়ে হামলা করেছে।

ইসরায়েলের শহরগুলোতে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটছে এবং মানুষের প্রাণহানি হচ্ছে। এর মধ্যেই ডোনাল্ড ট্রাম্প আবারও ইরানকে সতর্ক করেছেন। তিনি স্পষ্ট বলেছেন যে, যুদ্ধবিরতির লঙ্ঘন করবেন না কারণ যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়ে গেছে।

ইরান ইসরায়েলে মিসাইল নিক্ষেপের অভিযোগ অস্বীকার করেছে
ইরান মঙ্গলবার এই কথা অস্বীকার করেছে যে, তারা গত কয়েক ঘণ্টায় ইসরায়েলে কোনো মিসাইল নিক্ষেপ করেছে, যদিও ইসরায়েল অভিযোগ করেছিল যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কর্তৃক যুদ্ধবিরতি ঘোষণার পর তারা এমনটা করেছে। ইরানের সেনাবাহিনীর জেনারেল স্টাফ গত কয়েক ঘণ্টায় ইরান কর্তৃক দখলকৃত অঞ্চলগুলোতে (ইসরায়েল) মিসাইল নিক্ষেপের কথা অস্বীকার করেছেন। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ (Israel Katz) এর আগে বলেছিলেন যে, সেনাবাহিনী কর্তৃক ইরানি মিসাইলের আগমনের খবর জানানোর পর ইসরায়েল ইরানের যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের কঠোর জবাব দেবে।

রাশিয়া ইসরায়েল-ইরান যুদ্ধবিরতি নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছে
ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর চিফ অফ স্টাফ লেফটেন্যান্ট জেনারেল ইয়াল জমির (Eyal Zamir) বলেছেন যে, ইরানি শাসন কর্তৃক যুদ্ধবিরতির গুরুতর লঙ্ঘনের পরিপ্রেক্ষিতে, আমরা জোরপূর্বক হামলা চালাব। তেহরানের সাথে যুদ্ধবিরতি ঘোষণার পরপরই ইরান ইসরায়েলের উপর দুটি ব্যালিস্টিক মিসাইল নিক্ষেপ করে। অন্যদিকে রুশ বিদেশ মন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ (Sergei Lavrov) মঙ্গলবার বলেছেন যে, মস্কো ইসরায়েল এবং ইরানের মধ্যে যুদ্ধবিরতির পক্ষে, তবে এটি স্থায়ী হবে কিনা তা বলা কঠিন।