রাত ১২টা, ট্রেনের ফার্স্ট ক্লাস কোচ, আর তারপর এক মহিলার জন্য প্রধানমন্ত্রী মোদি এমন কাজ করলেন যা শুনে প্রতিটি ভারতীয়র বুক গর্বে ভরে উঠবে!

আমরা দেশের প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র দামোদর মোদি সম্পর্কে অনেক কিছু জানি এবং শুনি। কিন্তু কখনো কখনো আমাদের কানে এমন কিছু কথা আসে যা শুনে হৃদয় গর্বে ভরে ওঠে।
সম্প্রতি একটি ঘটনা সামনে এসেছে, ভাবলাম আপনাদের সাথে শেয়ার করি। আমি আপনাদের দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সম্পর্কে এমন একটি কথা বলতে যাচ্ছি, যা শুনে মোদির প্রতি আপনাদের সম্মান আরও বেড়ে যাবে।
ইন্টারনেটে পুরোনো খবরের কাগজের পাতা উল্টাতে উল্টাতে আমার চোখ দিল্লির একটি ইংরেজি কাগজের উপর পড়ল। সেই ইংরেজি কাগজে মোদি সম্পর্কে কিছু লেখা ছিল। সেই নিবন্ধটি ভারতীয় রেলওয়ে (ট্রাফিক) সার্ভিসের সিনিয়র অফিসার লীনা শর্মা (Leena Sharma) দ্বারা লেখা হয়েছিল।
সেই নিবন্ধে লীনা শর্মা লিখেছেন যে…
“একবার আমি দিল্লি থেকে আহমেদাবাদ যাওয়ার জন্য জরুরিভাবে বাড়ি থেকে বের হয়েছিলাম। তাড়াহুড়োয় আমার টিকিট কনফার্ম হয়নি। যেহেতু যাওয়া জরুরি ছিল, তাই আমি ট্রেনের ফার্স্ট-ক্লাস কামরায় উঠে পড়ি। তখন রাত ১২টা বাজছিল। ট্রেনে দেখলাম বেশ ভিড়। শোয়া তো দূরের কথা, বসারও জায়গা ছিল না। কোনোমতে একটি কোণ দেখে আমি বসে পড়লাম, ভাবলাম রাতটা এভাবেই কাটবে।
ঠিক ৫ মিনিট পর একটি কণ্ঠস্বর শোনা গেল… আপনি এখানে শুয়ে পড়ুন, আমি নিচে বিছিয়ে শুয়ে পড়ছি।
আমি প্রথমে দ্বিধাগ্রস্ত ছিলাম, কিন্তু ক্লান্তির কারণে সাহায্য নিতেই হলো। আমি সেই ভদ্রলোকের বার্থে গিয়ে শুয়ে পড়লাম। সকালে যখন ঘুম থেকে উঠলাম, তখন প্রথমে সেই ভদ্রলোকের মুখ দেখতে চাইলাম, যিনি আমাকে রাতে বার্থ দিয়েছিলেন এবং নিজে মেঝেতে শুয়েছিলেন।
সকালে দেখলাম আমার সামনে দুজন ব্যক্তি বসে আছেন। আমার জিজ্ঞাসায় একজন উত্তর দিলেন যে, আমরা দুজনেই বিজেপি পার্টির নেতা। আমার নাম নরেন্দ্র মোদি এবং ইনি শংকর সিং বাঘেলা।
আমি তাদের ধন্যবাদ জানিয়ে বাড়িতে চলে গেলাম…”
তখন তিনি গুজরাটের বিধায়ক ছিলেন এবং আজ দেশের প্রধানমন্ত্রী। ইংরেজি কাগজে প্রকাশিত এই গল্প থেকে একটি কথা প্রমাণিত হয় যে, ভালো মানুষের সাথে ভালোই হয়।