গীতার জ্ঞানে মনের কোলাহল জয়, ৫টি শাশ্বত শিক্ষা!

অতিরিক্ত চিন্তাভাবনা আমাদের মনের একটি চিরন্তন সমস্যা, যা ভগবদ গীতার মতো প্রাচীন গ্রন্থেও প্রতিফলিত হয়েছে। অর্জুনের মানসিক বিশৃঙ্খলা এবং সন্দেহের মুখোমুখি হয়ে কৃষ্ণ তাকে মনকে নিয়ন্ত্রণ করার, তা থেকে মুক্তি নয়, বরং তাকে সঠিকভাবে পরিচালনার পরামর্শ দেন। গীতা বলে, মন স্বাভাবিকভাবেই অস্থির, কিন্তু তাকে আকাঙ্ক্ষা ও ভয়ের দাস হতে দেওয়া উচিত নয়। কৃষ্ণ অর্জুনকে শেখান, তুমি তোমার চিন্তা নও, বরং সেই চেতনা যিনি চিন্তাগুলোকে পর্যবেক্ষণ করেন। এই দূরত্ব তৈরি করা অতিরিক্ত চিন্তার শক্তিকে কমিয়ে দেয়। আরও গুরুত্বপূর্ণ, গীতা বিচ্ছিন্নতার শিল্প শেখায়—ফলাফলের প্রতি আসক্তি ছাড়াই কাজ করা, যা মনের অস্থিরতা কমায়। এই শিক্ষা আজও আমাদের জন্য প্রাসঙ্গিক, যখন আমরা প্রতিনিয়ত সিদ্ধান্তের চাপে জর্জরিত হই।
কৃষ্ণের কর্মযোগের পরামর্শ অতিরিক্ত চিন্তার বিরুদ্ধে শক্তিশালী অস্ত্র। অর্জুনের মতো, আমরাও ভুল পদক্ষেপের ভয়ে স্থবির হয়ে পড়ি। গীতা বলে, ফলাফলের চিন্তা না করে সঠিক কাজে মনোনিবেশ করো। এই পদক্ষেপ নেওয়া মনের কুয়াশা দূর করে এবং স্পষ্টতা আনে। গীতা আরও বলে, সন্দেহ বুদ্ধিমত্তার ছদ্মবেশ হতে পারে, যা আমাদের বিভ্রান্তির দিকে নিয়ে যায়। সচেতনতা ও কর্মের মাধ্যমে আমরা এই চক্র ভাঙতে পারি। এই পাঁচটি শিক্ষা—মনের স্বভাব বোঝা, চিন্তা থেকে নিজেকে পৃথক করা, আকাঙ্ক্ষা-ভয়ের বন্ধন ছিন্ন করা, কর্মে এগিয়ে যাওয়া এবং সন্দেহের মায়া ত্যাগ করা—আধুনিক জীবনের জন্য গীতাকে একটি শাশ্বত পথপ্রদর্শক করে তোলে।