লন্ডনের রাস্তায় ইসলামপন্থী গোষ্ঠী টহল দিচ্ছে এবং শরিয়া আইনের কঠোর ব্যাখ্যা জোর করে প্রয়োগের চেষ্টা করছে, যা শহরের বহুত্ববাদী সমাজে উত্তেজনা ও ভয়ের সৃষ্টি করেছে। তারা নারীদের স্কার্ট পরতে এবং পুরুষদের মদ্যপানে নিষেধাজ্ঞা জারি করছে, এমনকি চরম শাস্তির কথাও বলছে। এই ক্রিয়াকলাপ ব্যক্তিগত স্বাধীনতা, মতপ্রকাশের অধিকার এবং আইনের শাসনের মতো গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে চ্যালেঞ্জ করে। এমন উগ্রবাদী পদক্ষেপ সামাজিক সংহতি নষ্ট করে এবং আইনি কর্তৃপক্ষের ক্ষমতাকে দুর্বল করে, যারা সকল নাগরিকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বাধ্য। এই ঘটনা বহুসংস্কৃতির যুক্তরাজ্যে বিভেদ ও প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে, যা সামাজিক শান্তিকে আরও বিপন্ন করে।

এই উগ্রপন্থীদের কর্মকাণ্ডকে বিস্তৃত মুসলিম সম্প্রদায়ের সঙ্গে গুলিয়ে ফেলা যাবে না, যারা বেশিরভাগই শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানে বিশ্বাসী। এই ধরনের চরমপন্থী দৃষ্টিভঙ্গি ইসলামোফোবিয়াকে উসকে দিতে পারে এবং সাংস্কৃতিক সংলাপের ক্ষতি করতে পারে। কর্তৃপক্ষকে এই ধরনের হুমকি বা বেআইনি কাজের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে, যাতে কোনও গোষ্ঠী আইন হাতে তুলে না নেয়। একই সঙ্গে, মিডিয়া ও জনসাধারণের আলোচনায় সতর্কতা প্রয়োজন, যেন সাধারণীকরণ বা অতিরঞ্জনের মাধ্যমে পরিস্থিতি আরও জটিল না হয়। এই ঘটনা বহুত্ববাদী সমাজে সহনশীলতা ও আইনের শাসন বজায় রাখার গুরুত্ব তুলে ধরে।

Islamist gangs patrol the streets of London at night, telling men not to drink alcohol and women not to wear skirts.

“Ultimately, I want every woman in this country to be covered from head to toe.

I want the hands of thieves to be cut. I want to see adulterers stoned to death.… pic.twitter.com/pXvzOoH3hU

— Dr. Maalouf ‏ (@realMaalouf) June 24, 2025