বোরকা পরে এসে তৌফিক নেহাকে ৫ তলা থেকে ফেলে দিল, মেয়েটির মৃত্যু

দিল্লির জ্যোতি নগরে (Jyoti Nagar) এক হৃদয়বিদারক ঘটনা ঘটেছে, যেখানে তৌফিক (Taufiq) বোরকা পরে এসে নেহাকে (Neha) পঞ্চম তলা থেকে ফেলে দিয়েছে, যার ফলে তার মৃত্যু হয়েছে। নেহার বাবা অভিযোগ করেছেন যে, তৌফিক প্রতারণার মাধ্যমে এই কাণ্ড ঘটিয়েছে এবং ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছে।
পুলিশ মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে।
দিল্লি থেকে এক হৃদয়বিদারক ঘটনা সামনে এসেছে। জ্যোতি নগর এলাকায় বসবাসকারী এক মেয়েকে তৌফিক নামের এক ছেলে পাঁচ তলা থেকে ফেলে হত্যা করেছে। মেয়েটির নাম নেহা। আহত নেহাকে জিটিবি হাসপাতালে (GTB Hospital) ভর্তি করা হয়েছিল, যেখানে চিকিৎসার সময় তার মৃত্যু হয়। অবাক করার বিষয় হলো, তৌফিক প্রতারণার মাধ্যমে নেহাকে হত্যা করেছে। নেহার বাবার অভিযোগ, তৌফিক বোরকা পরে তাদের বিল্ডিংয়ে ঢুকেছিল। সে প্রথমে নেহার বাবাকে ধাক্কা দেয় এবং নেহার কাছে যায়। নেহার সাথে তৌফিকের আগে কোনো বিষয় নিয়ে তর্ক হয়েছিল। সে নেহাকে ফোন করে অজুহাত দেখিয়ে বিল্ডিংয়ের ছাদে ডাকে এবং নিচে ফেলে দেয়।
তৌফিককে রাখি বাঁধত নেহা
নেহার বাবা ঘটনার তথ্য দিতে গিয়ে জানিয়েছেন যে, নেহা প্রতি বছর অভিযুক্ত তৌফিককে রাখি বাঁধত। পরিবার তৌফিককে প্রায় তিন বছর ধরে চিনত। কিন্তু নেহা এখন তৌফিকের সাথে কথা বলতে চাইছিল না। পরিবারের অভিযোগ, তৌফিক নেহাকে বিরক্ত করত। তাকে হুমকিও দিত। পুলিশ পরিবারের বয়ানের ভিত্তিতে মামলা দায়ের করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত পলাতক রয়েছে। ঘটনা ঘটিয়েই অভিযুক্ত তৌফিক পালিয়ে গেছে, পুলিশ তার সন্ধান করছে।
কথা না বলার কারণে হত্যা
তৌফিক মুরাদাবাদের (Moradabad) বাসিন্দা। তবে সে মণ্ডলী রোডে (Mandoli Road) কাজ করে, যার কারণে সে দিল্লিতে থাকে। বলা হচ্ছে যে, যখন থেকে নেহা তৌফিকের সাথে কথা বলা বন্ধ করেছিল, তখন থেকে সে নেহার উপর ক্ষুব্ধ ছিল। তৌফিক নেহার বিল্ডিংয়ের সামনের বাড়িতেই থাকত। পরিবারের অভিযোগ, সে নেহাকে হুমকিও দিত। পুলিশ মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে। অভিযুক্ত তৌফিক মুরাদাবাদের বাসিন্দা। অভিযুক্ত পলাতক। পুলিশি তদন্তের পরই এই হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্ঘাটিত হবে।