‘কাশ্মীর নিয়ে কিছু বলবে না’… ৫৭ দেশের সামনে ভারতের গর্জন

জম্মু ও কাশ্মীর (Jammu and Kashmir) নিয়ে মিথ্যা ছড়ানো এবং আন্তর্জাতিক মঞ্চে ভারতের বিরুদ্ধে ভুল আখ্যান (narrative) উপস্থাপন করা পাকিস্তানের (Pakistan) পুরনো অভ্যাস হয়ে দাঁড়িয়েছে। তারা ক্রমাগত এমন প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, যার উদ্দেশ্য হলো বিশ্ব সম্প্রদায়কে বিভ্রান্ত করা এবং ভারতের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করা।
তুরস্কের (Turkey) সাম্প্রতিক ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থা (OIC) এর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকেও পাকিস্তান OIC কে ব্যবহার করে কাশ্মীর ইস্যুতে ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার চেষ্টা করেছে। OIC দেশগুলোও কাশ্মীরের ইস্যুতে পাকিস্তানের অবস্থানকে সমর্থন করে বলেছে যে, তারা জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের (United Nations Security Council) প্রস্তাব এবং কাশ্মীরি জনগণের ইচ্ছানুযায়ী কাশ্মীরি জনগণের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকারকে সমর্থন করে। তবে ভারত পাকিস্তান এবং OIC উভয়কেই কড়া ভাষায় ধমক দিয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের সন্ত্রাসীদের… পেহেলগাম হামলা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহর (Omar Abdullah) বড় দাবি
ভারত স্পষ্টভাবে বলেছে যে, OIC এর এই বিষয়ে মন্তব্য করার কোনো অধিকার নেই। OIC পাকিস্তানের প্রভাবে পড়ে কাশ্মীর নিয়ে অযৌক্তিক এবং তথ্যগতভাবে ভুল বিবৃতি দিচ্ছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় (Ministry of External Affairs) একটি বিস্তারিত বিবৃতিতে বলেছে যে, “সন্ত্রাসবাদকে রাষ্ট্রীয় নীতিতে পরিণত করা পাকিস্তানের এই ধরনের বিবৃতি OIC মঞ্চের সংকীর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্য সাধনে ক্রমাগত অপব্যবহারকে তুলে ধরে।” পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে যে, “পাকিস্তান-প্রয়োজিত সন্ত্রাসের আসল হুমকিকে স্বীকার করতে OIC বারবার ব্যর্থ হয়েছে, যার সাম্প্রতিক প্রমাণ পেহেলগাম (Pahalgam) হামলায় দেখা গেছে, এটি তথ্যের প্রতি ইচ্ছাকৃত অবজ্ঞাকে নির্দেশ করে।” পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, “সন্ত্রাসবাদকে রাষ্ট্রীয় কৌশলে রূপান্তরিত করা পাকিস্তানের ইশারায় এই বিবৃতিগুলো OIC মঞ্চের সংকীর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্য সাধনে ক্রমাগত অপব্যবহারকে তুলে ধরে।”
ক্রমবর্ধমান সংঘাতের মধ্যে কাশ্মীরি শিক্ষার্থীসহ ৩১১ জন ভারতীয় নাগরিক ইরান থেকে নিরাপদে ফিরে এসেছেন।
OIC এর ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে মন্তব্য করার কোনো অধিকার নেই, যার মধ্যে জম্মু ও কাশ্মীরও অন্তর্ভুক্ত, যা ভারতের অবিচ্ছেদ্য ও সার্বভৌম অংশ—একটি সত্য যা ভারতীয় সংবিধানে (Indian Constitution) নিহিত এবং এটি অপরিবর্তনীয়। ভারতের এই কড়া প্রতিক্রিয়া তুরস্কের OIC পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনের পর এসেছে, যেখানে ভারতীয় মুসলমানদের ‘সামাজিকভাবে প্রান্তিক’ করার মতো বেশ কিছু ইস্যুতে নয়াদিল্লির (New Delhi) সমালোচনা করা হয়েছিল। OIC সিন্ধু জল চুক্তি (Indus Waters Treaty) সহ ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক চুক্তি কঠোরভাবে মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছে এবং সমস্ত অমীমাংসিত বিরোধের শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য ব্যাপক-ভিত্তিক আলোচনার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিয়েছে।