‘আমার কাঁধে আমার তিরঙ্গা’, মহাকাশ থেকে শুভ্রাংশু শুক্লার প্রথম বার্তা

‘আমার কাঁধে আমার তিরঙ্গা’, মহাকাশ থেকে শুভ্রাংশু শুক্লার প্রথম বার্তা

ভারতের শুভ্রাংশু শুক্লা এবং আরও তিন মহাকাশচারীকে নিয়ে অ্যাক্সিওম-৪ (Axiom-4) মিশন, কেনেডি স্পেস সেন্টারের (Kennedy Space Center) কমপ্লেক্স ৩৯এ (Complex 39A) থেকে উড়ান ভরেছে। স্পেসক্রাফ্টটি ঠিক দুপুর ১২:০১ টায় (ভারতীয় সময় অনুযায়ী) উড়ান শুরু করে।

স্পেসক্রাফ্টের ভেতর থেকে শুভ্রাংশু শুক্লা তার প্রথম বার্তা দিয়েছেন। তিনি বলেন যে, “নমস্কার, আমার প্রিয় দেশবাসী, what a ride… ৪১ বছর পর আমরা আবার মহাকাশে পৌঁছে গেছি। এবং কী দুর্দান্ত রাইড ছিল। এই মুহূর্তে আমরা প্রতি সেকেন্ডে ৭.৫ কিলোমিটার গতিতে পৃথিবীর চারদিকে ঘুরছি। আমার কাঁধে আমার সাথে আমার তিরঙ্গা আছে, যা আমাকে বলছে যে আমি একা নই, আমি আপনাদের সবার সাথে আছি।”

শুভ্রাংশু শুক্লা স্পেসক্রাফ্টের ভেতর থেকে আরও বলেন যে, “এটা আমার আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন (International Space Station) পর্যন্ত যাত্রার শুরু নয়, এটা ভারতের মানব মহাকাশ কর্মসূচির (Human Space Program) শুরু। এবং আমি চাই যে সকল দেশবাসী এই যাত্রার অংশীদার হোক। আপনার বুকও গর্বে ভরে ওঠা উচিত। আপনারাও ততটা উত্তেজনা দেখান। আসুন আমরা সবাই মিলে ভারতের এই মানব মহাকাশ যাত্রার শুরু করি। ধন্যবাদ, জয় হিন্দ, জয় ভারত।”

প্রসঙ্গত, আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে পৌঁছানোর পর তিনি স্টেশনে পৌঁছানো প্রথম ভারতীয় হবেন এবং ১৯৮৪ সালের রাকেশ শর্মার (Rakesh Sharma) মিশনের পর মহাকাশে যাওয়া দ্বিতীয় ভারতীয় হবেন। ২৮ ঘণ্টার যাত্রার পর মহাকাশযানটি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৪:৩০ নাগাদ আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে (ISS) ডক করবে বলে আশা করা হচ্ছে।

৪৫০ কিলোমিটার দূরের স্টেশনে পৌঁছাতে শুভ্রাংশুর কেন ২৮ ঘণ্টা লাগবে? বুঝুন মহাকাশ যাত্রার পুরো পথ
বায়ুযোদ্ধার অদম্য উদ্দীপনায় অনুপ্রাণিত এক যাত্রা: ইন্ডিয়ান এয়ারফোর্স
শুভ্রাংশু শুক্লার মিশন শুরু হওয়ার পর ইন্ডিয়ান এয়ারফোর্স (Indian Air Force) সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টের মাধ্যমে আনন্দ প্রকাশ করেছে। ইন্ডিয়ান এয়ারফোর্স এক্স (X) এ লিখেছে যে, “আকাশ জয় করা থেকে শুরু করে নক্ষত্র ছোঁয়া পর্যন্ত, ভারতীয় বায়ুসেনার বায়ুযোদ্ধার অদম্য উদ্দীপনায় অনুপ্রাণিত একটি যাত্রা। গ্রুপ ক্যাপ্টেন শুভ্রাংশু শুক্লা একটি ঐতিহাসিক মহাকাশ মিশনে রওনা হয়েছেন, যা দেশের গৌরবকে পৃথিবীর বাইরে নিয়ে যাবে।” ইন্ডিয়ান এয়ারফোর্স আরও বলেছে যে, “এটি ভারতের জন্য এমন একটি মুহূর্ত, যা স্কোয়াড্রন লিডার রাকেশ শর্মার মিশনের ৪১ বছর পর এসেছে, যিনি প্রথম আমাদের তিরঙ্গাকে পৃথিবীর বাইরে নিয়ে গিয়েছিলেন। এটি একটি মিশনের চেয়েও বেশি কিছু।”

স্পেস স্টেশন পর্যন্ত পৌঁছাতে ২৮ ঘণ্টা লাগবে
আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন (ISS) পৃথিবী থেকে প্রায় ৪০০ কিলোমিটার উচ্চতায় ‘লো আর্থ অরবিট’ (Low Earth Orbit) এ ২৮০০০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা গতিতে প্রদক্ষিণ করছে। এটি একটি চলমান লক্ষ্য, যার সাথে মহাকাশযানকে নিখুঁতভাবে মেলাতে হয়। শুভ্রাংশু শুক্লাকে বহনকারী স্পেসএক্স-এর ড্রাগন (Dragon) মহাকাশযান এই যাত্রায় ২৮ ঘণ্টা সময় নেবে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *