শক্তিপীঠ এক্সপ্রেসওয়ে পেলো অনুমোদন, নাগপুর থেকে গোয়া মাত্র ৮ ঘণ্টায়, যুক্ত হবে ১৮টি ধর্মীয় স্থান

নাগপুর-গোয়া শক্তিপীঠ এক্সপ্রেসওয়ে (Nagpur-Goa Shaktipeeth Expressway) তৈরির পথ পরিষ্কার হয়ে গেছে। মহারাষ্ট্র মন্ত্রিসভা এই এক্সপ্রেসওয়ের জন্য ভূমি অধিগ্রহণ এবং পরিকল্পনার অনুমোদন দিয়েছে। ৮০২ কিলোমিটার দীর্ঘ এই হাই-স্পিড করিডর, যা আনুষ্ঠানিকভাবে মহারাষ্ট্র শক্তিপীঠ মহামার্গা (Maharashtra Shaktipeeth Mahamarg) নামে পরিচিত, তা ওয়ার্ধা জেলার পবনর (Pawnar, Wardha) থেকে মহারাষ্ট্র-গোয়া সীমান্তের কাছে সিন্ধুদুর্গে (Sindhudurg) পাত্রাদেবী (Patradevi) পর্যন্ত সংযোগ স্থাপন করবে।
এই এক্সপ্রেসওয়ে রাজ্যের ১১টি জেলার মধ্য দিয়ে যাবে এবং তিনটি শক্তিপীঠ, দুটি জ্যোতির্লিঙ্গ এবং পন্ধরপুর (Pandharpur) ও অম্বাজোগাই (Ambajogai)-এর মতো আধ্যাত্মিক কেন্দ্রসহ ১৮টি প্রধান ধর্মীয় স্থানকে সংযুক্ত করবে। এই এক্সপ্রেসওয়ে মহালক্ষ্মী মন্দির (Mahalakshmi Temple, Kolhapur), তুলজা ভবানী মন্দির (Tulja Bhawani Temple, Dharashiv) এবং রেণুকা মাতা শক্তিপীঠ (Renuka Mata Shaktipeeth, Nanded)-এর মতো প্রধান তীর্থস্থানগুলোকে যুক্ত করবে।
২০,৭৮৭ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে
এই এক্সপ্রেসওয়ের ভূমি অধিগ্রহণের জন্য বর্তমানে ২০,৭৮৭ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। এই এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পটি রাজ্য পরিচালিত অবকাঠামো কর্পোরেশনের মাধ্যমে বাস্তবায়িত হবে, যেখানে ভূমি অধিগ্রহণ এবং প্রাথমিক পরিকল্পনা প্রক্রিয়া গণপূর্ত বিভাগ (PWD) দ্বারা তত্ত্বাবধান করা হবে। প্রকল্পের জন্য প্রয়োজনীয় ৮,৪১৯ হেক্টর জমির মধ্যে প্রায় ৮,১০০ হেক্টর ব্যক্তিগত কৃষকদের জমি। কোলাপুর এবং তার আশেপাশের সুগার বেল্ট (sugar belt) জেলাগুলিতে প্রতিবাদের কারণে এই এক্সপ্রেসওয়ের কাজ আটকে গিয়েছিল।
ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক করিডোর হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে
শক্তিপীঠ এক্সপ্রেসওয়েকে একটি ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক করিডোর হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা হবে, যার উদ্দেশ্য বিদর্ভ (Vidarbha), মারাঠওয়াড়া (Marathwada) এবং পশ্চিম মহারাষ্ট্রের ধর্মীয় স্থানগুলোকে সংযুক্ত করা। এক্সপ্রেসওয়েটি ওয়ার্ধা, যবতমাল, হিংগোলি, নান্দেড়, পারভানি, লাতূর, বীড, ধারাশিব, সোলাপুর, কোলাপুর এবং সিন্ধুদুর্গের মধ্য দিয়ে যাবে। প্রকল্পের জন্য বর্তমানে ২০,০০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। সম্পূর্ণ হতে প্রায় ৮০,০০০ কোটি টাকা খরচ হবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। কর্মকর্তারা বলছেন যে, এই এক্সপ্রেসওয়ে সম্পূর্ণ হলে নাগপুর থেকে গোয়ার যাত্রা ৮ ঘণ্টায় সম্পন্ন হবে, যা বর্তমানে ১৮ ঘণ্টা সময় নেয়।