Motorola Edge 50 Ultra: ফ্ল্যাগশিপ ফোনটি ₹15,000 কমেছে, দ্রুত জানুন অফার ও ফিচার!

আপনি যদি একটি শক্তিশালী ফ্ল্যাগশিপ স্মার্টফোন কেনার পরিকল্পনা করে থাকেন, তাহলে আপনার জন্য সুখবর! Motorola Edge 50 Ultra-এর দাম আবারও ব্যাপক কমেছে। মটোরোলা তাদের এই প্রিমিয়াম ফোনটিকে আরও সাশ্রয়ী করতে এর দাম ১৫,০০০ টাকা পর্যন্ত কমিয়ে দিয়েছে। এই ফোনটি কি আপনার জন্য সঠিক হবে? এর ফিচার এবং বর্তমান অফারগুলো একে মিড-রেঞ্জ বাজেটে সেরা বিকল্প করে তুলেছে। এর বিস্তারিত বৈশিষ্ট্য এবং বাস্তবসম্মত সুবিধাগুলো নিচে আলোচনা করা হলো।
এই স্মার্টফোনটি গত বছর একটি ফ্ল্যাগশিপ হিসেবে বাজারে আসে, যা তার স্টাইলিশ ডিজাইন এবং শক্তিশালী পারফরম্যান্সের জন্য পরিচিত। ফোনটি মূলত সেইসব ব্যবহারকারীদের লক্ষ্য করে তৈরি করা হয়েছে যারা প্রিমিয়াম ফিচার চান, কিন্তু এখন Motorola Edge 60 সিরিজ লঞ্চ হওয়ার পর কো ম্পা নি এর দামকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলেছে। ভারতীয় বাজারে এটি সেইসব ব্যবহারকারীদের জন্য আদর্শ যারা উচ্চ-প্রযুক্তিকে সাশ্রয়ী মূল্যে পেতে চান।
Motorola Edge 50 Ultra-এর ফিচার ও স্পেসিফিকেশন
এই ফোনে একটি ফ্ল্যাগশিপ ডিভাইস থেকে আপনি যা আশা করেন, তার সবকিছুই আছে। এর স্পেসিফিকেশনগুলো এটিকে গেমিং, ফটোগ্রাফি এবং মাল্টিটাস্কিংয়ের জন্য দুর্দান্ত করে তোলে। আসুন, এর প্রধান ফিচারগুলো দেখে নিই:
ডিসপ্লে ও ডিজাইন
৬.৭ ইঞ্চির সুপার HD pOLED ডিসপ্লে: কার্ভড ডিজাইনের এই স্ক্রিন HDR10+ এবং ১৪৪ হার্টজ রিফ্রেশ রেট সমর্থন করে। ২৮০০ নিটস পিক ব্রাইটনেস এটিকে তীব্র রোদেও দারুণ ভিজিবিলিটি দেয়।
নর্ডিক উড ও পিচ ফাজ ভিগান লেদার ফিনিশ: এর প্রিমিয়াম লুক আপনার স্টাইলকে আরও উন্নত করে।
পারফরম্যান্স
Qualcomm Snapdragon 8s Gen 3 প্রসেসর: এই চিপসেটটি গেমিং এবং ভারী অ্যাপসগুলো নির্বিঘ্নে চালাতে সক্ষম।
১২ জিবি LPDDR5X র্যাম এবং ৫১২ জিবি UFS 4.0 স্টোরেজ: স্টোরেজের অভাবের চিন্তা দূর করে এবং মাল্টিটাস্কিংয়ে কোনো ল্যাগ নেই।
Android 14: সর্বশেষ সফটওয়্যারের সাথে আপনি একটি স্মুথ এবং আপডেটেড ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতা পাবেন।
ব্যাটারি ও চার্জিং
৪,৫০০ mAh ব্যাটারি: সারাদিনের ব্যাটারি লাইফ, যা স্বাভাবিক ব্যবহারে সহজেই চলে।
১২৫ ওয়াট ফাস্ট চার্জিং: মিনিটে ফোন সম্পূর্ণ চার্জ করুন, যা আজকের ব্যস্ত জীবনযাত্রার জন্য উপযুক্ত।
ক্যামেরা
ট্রিপল রিয়ার ক্যামেরা সেটআপ: ৫০ এমপি প্রধান (OIS সহ), ৫০ এমপি আল্ট্রা-ওয়াইড, এবং ৬৪ এমপি টেলিফটো লেন্স। এই সেটআপটি কম আলোতে এবং জুম ফটোগ্রাফিতে অসাধারণ কাজ করে।
৫০ এমপি ফ্রন্ট ক্যামেরা: সেলফি এবং ভিডিও কলিংয়ের জন্য তীক্ষ্ণ ও পরিষ্কার ফলাফল।
কানেক্টিভিটি
ডুয়াল ৫জি সিম, ডুয়াল ব্যান্ড ওয়াই-ফাই, এবং ব্লুটুথ সাপোর্ট সহ এই ফোনটি ফিউচার-রেডি।
Motorola Edge 50 Ultra-এর দাম ও লঞ্চ তারিখ
Motorola Edge 50 Ultra গত বছর ৬৪,৯৯৯ টাকায় লঞ্চ হয়েছিল। কিন্তু এখন ফ্লিপকার্টে এই ফোনটি মাত্র ৪৯,৯৯৯ টাকায় উপলব্ধ। এছাড়াও:
৪,০০০ টাকার অতিরিক্ত ডিসকাউন্ট: নির্বাচিত ব্যাংক কার্ডে (যেমন Flipkart Axis Bank Credit Card) ৫% ক্যাশব্যাক।
৪১,০০০ টাকা পর্যন্ত এক্সচেঞ্জ অফার: আপনার যদি পুরোনো ফোন (যেমন Motorola Edge 50 5G) থাকে, তাহলে এক্সচেঞ্জ করে দাম আরও কমাতে পারবেন।
নো-কস্ট ইএমআই: সহজ কিস্তিতে পেমেন্টের অপশন।
Motorola Edge 50 Ultra বনাম প্রতিদ্বন্দ্বীগণ
অনেকেই দ্বিধায় থাকেন যে, এই ফোনটি তার মূল্যের মধ্যে সেরা কিনা। এটি প্রায় ৫০,০০০ টাকার বাজেটে অনেক বড় ব্র্যান্ডকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। আসুন, কিছু জনপ্রিয় ফোনের সাথে এর তুলনা করি:
ফিচার
Motorola Edge 50 Ultra
Samsung Galaxy S23
Xiaomi Redmi Note 13 Pro+
প্রসেসর
Snapdragon 8s Gen 3
Snapdragon 8 Gen 2
Dimensity 7200 Ultra
র্যাম/স্টোরেজ
12GB/512GB
8GB/256GB
12GB/256GB
ডিসপ্লে
6.7″ pOLED, 144Hz
6.1″ AMOLED, 120Hz
6.67″ AMOLED, 120Hz
ক্যামেরা
50MP+50MP+64MP
50MP+12MP+10MP
200MP+8MP+2MP
ব্যাটারি/চার্জিং
4,500mAh/125W
3,900mAh/25W
5,000mAh/120W
দাম
~49,999 টাকা
~55,000 টাকা
~31,999 টাকা
Export to Sheets
Samsung Galaxy S23: উন্নত সফটওয়্যার সাপোর্ট এবং ব্র্যান্ড ভ্যালু আছে, কিন্তু চার্জিং স্পিড এবং ব্যাটারিতে মটোরোলা এগিয়ে।
Xiaomi Redmi Note 13 Pro+: সস্তা বিকল্প, কিন্তু মটোরোলার প্রসেসর এবং ডিসপ্লে কোয়ালিটি এটিকে প্রিমিয়াম করে তোলে।
Motorola Edge 50 Ultra কি আপনার জন্য সঠিক পছন্দ? – আমাদের মতামত
আমার মতে, এই ফোনটি তাদের জন্য সেরা যারা:
প্রিমিয়াম ডিজাইন এবং পারফরম্যান্স চান, যেমন গেমিং, মাল্টিটাস্কিং, বা উচ্চ-মানের ফটোগ্রাফি।
দ্রুত চার্জিংকে অগ্রাধিকার দেন, কারণ ১২৫ ওয়াট চার্জিং সত্যিই একটি গেম-চেঞ্জার।
বাজেট ৫০,০০০ টাকার আশেপাশে রাখেন এবং একটি ফ্ল্যাগশিপ অভিজ্ঞতা চান।
কমতি কি আছে?
ব্যাটারি ৪,৫০০ mAh, যা কিছু প্রতিদ্বন্দ্বীর (যেমন Motorola Edge 60-এর ৬,০০০ mAh) চেয়ে কম।
সফটওয়্যার আপডেটের ক্ষেত্রে স্যামসাং-এর মতো ব্র্যান্ডগুলোর চেয়ে কিছুটা পিছিয়ে থাকতে পারে