‘আমাকে বাঁচান, রাশিয়া মেরে ফেলবে’…এদিকে ন্যাটো সম্মেলনে চৌধুরী সেজে শান্তি স্থাপনে ট্রাম্প, ওদিকে পুতিনের সেনা ইউক্রেনে তাণ্ডব চালাচ্ছে
রাশিয়া এবং ইউক্রেনের মধ্যে চলা যুদ্ধ আবারও ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump) এবং ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির (Volodymyr Zelenskyy) বৈঠকের ঠিক আগে রাশিয়া ইউক্রেনের উপর বড় হামলা চালিয়েছে।
এই হামলা মঙ্গলবার ঘটেছে যখন ট্রাম্প নেদারল্যান্ডসে (Netherlands) ন্যাটো নেতাদের (NATO Leaders) এবং জেলেনস্কির সাথে দেখা করার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। বিবিসি-তে (BBC) প্রকাশিত একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, ইউক্রেনের দনিপ্রোপেত্রোভস্ক (Dnipropetrovsk) এলাকায় মঙ্গলবার রাশিয়া ভয়াবহ বিমান হামলা চালিয়েছে, যেখানে ১৭ জন নিহত এবং ১০০ জনের বেশি আহত হয়েছেন। স্কুল, হাসপাতাল এবং একটি যাত্রীবাহী ট্রেনকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছিল। সেদিনই ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি নেদারল্যান্ডসের ন্যাটো (NATO) বৈঠকে অংশ নিতে পৌঁছেছিলেন। উত্তর-পূর্বের সুমি (Sumy) শহরে আলাদা হামলায় একটি ছোট বাচ্চাসহ আরও তিনজন নিহত হয়েছেন।
জেলেনস্কির যুদ্ধ থেকে বাঁচার আর্তি
জেলেনস্কি সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social Media) রাশিয়ার সমালোচনা করে বলেছেন, “এটা জীবনের অবমাননা। এটা এমন যুদ্ধ নয়, যেখানে সঠিক-ভুল বেছে নেওয়া কঠিন।” ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি আজ নেদারল্যান্ডসের হেগে (Hague) ন্যাটো শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নিচ্ছেন। সেখানে তিনি পশ্চিমা দেশগুলোর কাছে আরও সামরিক সাহায্যের আবেদন করছেন। রাশিয়ার শক্তিশালী সেনাবাহিনীর সামনে ইউক্রেনের শক্তিশালী সমর্থন প্রয়োজন। জেলেনস্কি ন্যাটো নেতাদের কাছে আবেদন করেছেন যে, তারা রাশিয়ার বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করুন, যাতে এই যুদ্ধ বন্ধ করা যায়।
ট্রাম্প কি মীমাংসা করাতে পারবেন?
সম্প্রতি রাশিয়া এবং ইউক্রেনের মধ্যে শান্তি আলোচনা হয়েছিল, কিন্তু তার কোনো বিশেষ ফলাফল আসেনি। জেলেনস্কির মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথেও সাক্ষাৎ হওয়ার কথা আছে। ডোনাল্ড ট্রাম্পের চেষ্টা হলো রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শেষ করার জন্য কোনো পথ বের করা। ট্রাম্প আগেও বলেছেন যে, তিনি এই যুদ্ধ দ্রুত শেষ করতে চান।
পুরো বিশ্বের কি ট্রাম্পের উপর আশা?
জেলেনস্কি এবং ট্রাম্পের বৈঠকের পর বিশ্ব আশা করেছিল যে, হয়তো কোনো শান্তি চুক্তি হতে পারে। কিন্তু রাশিয়ার সাম্প্রতিক হামলা পরিস্থিতিকে আরও উত্তেজনাপূর্ণ করে তুলেছে। এখন ন্যাটো দেশগুলো এবং ইউক্রেনকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে, এই যুদ্ধ কিভাবে থামানো যায়। রাশিয়া এবং ইউক্রেনের যুদ্ধ প্রায় চার বছর ধরে চলছে কিন্তু এর কোনো শেষ দেখা যাচ্ছে না। বিশ্বের নজর ট্রাম্প এবং জেলেনস্কির বৈঠকের দিকে রয়েছে। এই বৈঠক থেকে কি যুদ্ধ থামার কথা হবে তা সময়ই বলবে।