জর্জিয়া মেলোনিকে ছাড়িয়ে, ট্রাম্প-ম্যাক্রোঁর পাশে… সেই মহিলা কে, যাঁর ন্যাটো মিটিংয়ের ছবি ভাইরাল হলো?

জর্জিয়া মেলোনিকে ছাড়িয়ে, ট্রাম্প-ম্যাক্রোঁর পাশে… সেই মহিলা কে, যাঁর ন্যাটো মিটিংয়ের ছবি ভাইরাল হলো?

ন্যাটো (NATO) মিটিংয়ে ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনিকে (Giorgia Meloni) ছাড়িয়ে এবং ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump) ও এমানুয়েল ম্যাক্রোঁর (Emmanuel Macron) ঠিক পাশেই বসে থাকা এক মহিলার ছবি সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। এই মহিলা হলেন নেদারল্যান্ডসের রাণী ম্যাক্সিমা (Queen Máxima)। তার জন্ম ১৯৭১ সালের ১৭ই মে আর্জেন্টিনায়। তিনি তার ফ্যাশন সেন্সের জন্যও বেশ পরিচিত। ২০০২ সালে তার বিয়ে হয় প্রিন্স উইলেম-আলেকজান্ডারের (Prince Willem-Alexander) সঙ্গে, যার পর তিনি নেদারল্যান্ডসের রাণী হন। এর আগে তিনি নিউইয়র্কে একজন ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকার (Investment Banker) হিসেবে কাজ করতেন।

ম্যাক্সিমা এবং প্রিন্স উইলেম-আলেকজান্ডারের প্রথম দেখা হয় ১৯৯৯ সালে স্পেনের (Spain) একটি পার্টিতে। তখন তিনি ‘বিগ অ্যাপল’-এ ডয়েচে ব্যাংকে (Deutsche Bank) একজন অর্থনীতিবিদ হিসেবে কর্মরত ছিলেন। এরপর দুজনের মধ্যে প্রেম হয়। নিউইয়র্ক পোস্টের (New York Post) রিপোর্ট অনুযায়ী, এক সময় এমনও এসেছিল যখন তাদের ভালোবাসার গল্পে ফাটল ধরেছিল। কারণ নেদারল্যান্ডসের মিডিয়া প্রকাশ করে যে, ম্যাক্সিমার বাবা আর্জেন্টিনার ‘ডার্টি ওয়ার’-এর (Dirty War) সময় জান্তা সরকারের (Junta government) মন্ত্রী হিসেবে কাজ করেছিলেন। ম্যাক্সিমা একজন ফ্যাশন আইকন (Fashion Icon) হিসেবেও পরিচিত। ন্যাটো সদস্যদের সাথে তাকে লাইম গ্রিন জম্পস্যুটে (Lime Green Jumpsuit) দেখা গেছে। অভিবাসন এবং LGBTQ+ অধিকারের বিষয়ে ম্যাক্সিমা সোচ্চার। রাণী ম্যাক্সিমা এবং রাজা উইলেম-আলেকজান্ডারের তিন কন্যা রয়েছেন: রাজকুমারী ক্যাথরিনা-আমালিয়া (Catharina-Amalia), রাজকুমারী অ্যালেক্সিয়া (Alexia) এবং রাজকুমারী আরিয়েন (Ariane)।

ম্যাক্সিমার সামাজিক কর্ম এবং ন্যাটো সম্মেলনের প্রভাব
রাণী ম্যাক্সিমা তার সামাজিক কাজের জন্যও পরিচিত। তিনি ডাচ ভাষা শেখার গুরুত্বের উপর জোর দেন। অনেক অনুষ্ঠানেই ম্যাক্সিমা তার পোশাকের কারণে আলোচনার কেন্দ্রে এসেছেন। ক্রাউন প্রিন্স হুসেন বিন আবদুল্লাহ (Hussein bin Abdullah) এবং সৌদি আরবের স্থপতি রাজওয়া আল সাইফের (Rajwa Al Saif) বিয়ের জন্য তিনি ১০০ দিন আগেই পোশাকের অর্ডার দিয়েছিলেন। ন্যাটো সম্মেলনের পর সদস্য দেশগুলোর পক্ষ থেকে জারি করা যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে যে, তারা সম্মিলিত নিরাপত্তা নিয়ে বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ইউরোপীয় দেশগুলো আগামী ১০ বছরে তাদের প্রতিরক্ষা ব্যয় জিডিপির (GDP) ৫ শতাংশ পর্যন্ত বাড়াবে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *