এক দিনে ১৪ উইকেট পতন… ওয়েস্ট ইন্ডিজের ২ বোলার অস্ট্রেলিয়াকে কাঁচা চিবিয়ে খেলেন, রীতিমতো হুলুস্থুল কাণ্ড!

বার্বাডোসে (Barbados) ওয়েস্ট ইন্ডিজ (West Indies) এবং অস্ট্রেলিয়ার (Australia) মধ্যে খেলা টেস্ট ম্যাচের প্রথম দিনে বোলারদের দাপট ছিল। অস্ট্রেলিয়ার দল ১৮০ রানে গুটিয়ে যায়। জবাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজও ৫৭ রানে ৪ উইকেট হারায়।
জেডেন সিলস (Jayden Seales) ৫টি উইকেট নেন। শামার জোসেফ (Shamar Joseph) ৪টি সাফল্য পান। সারা দিনে মোট ১৪টি উইকেট পড়ে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ এখনও অস্ট্রেলিয়া থেকে ১২৩ রানে পিছিয়ে আছে।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের দুই বোলার বিধ্বংসী রূপে
ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে টেস্ট সিরিজের শুরুটা ছিল রোমাঞ্চকর। প্রথম দিনে ফাস্ট বোলাররা দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখান। অস্ট্রেলিয়া টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু, ওয়েস্ট ইন্ডিজের ফাস্ট বোলাররা তাদের দ্রুতই সমস্যায় ফেলে দেন। জেডেন সিলস এবং শামার জোসেফ শুরু থেকেই টাইট বোলিং করেন। তারা অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটসম্যানদের রান তোলার কোনো সুযোগ দেননি। সিলস ৬০ রান দিয়ে ৫টি উইকেট নেন। জোসেফ ৪৬ রান দিয়ে ৪টি উইকেট শিকার করেন।
শামার জোসেফের দাপট
শুরুতে স্যাম কন্সটাসকে (Sam Konstas) এলবিডব্লিউ (LBW) আউট দেওয়া হয়নি। কিন্তু, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ডিআরএস (DRS) নেয়। ডিআরএস-এ (DRS) সিদ্ধান্ত ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে আসে। কন্সটাসকে ফিরে যেতে হয়। শামার জোসেফ একই ওভারে দ্বিতীয় উইকেট পেতে পারতেন। কিন্তু, ক্যামেরন গ্রিনের (Cameron Green) ক্যাচ ব্রেন্ডন কিং (Brandon King) ফেলে দেন। এরপর রোস্টন চেজও (Roston Chase) একটি সহজ ক্যাচ ছাড়েন। এতে জোসেফ হতাশ হন। তবে, জোসেফ গ্রিনকে স্লিপে ক্যাচ করিয়ে তার দ্বিতীয় উইকেট নেন।
একসময় অস্ট্রেলিয়ার স্কোর ২২ রানে ৩ উইকেট ছিল। এরপর ট্রেভিস হেড (Travis Head) এবং উসমান খাজা (Usman Khawaja) ইনিংসের হাল ধরেন। দুজনই দ্রুত রান তোলেন। হেড অর্ধশতক করেন। খাজা ৪৭ রান করে আউট হন। হেড আক্রমণ চালিয়ে যান। তিনি লাঞ্চের পরও দ্রুত রান তোলেন। স্টিভ স্মিথ (Steve Smith) এবং মার্নাস লাবুশেনের (Marnus Labuschagne) অনুপস্থিতিতে তিনি দলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেন।
সিলসেরও দুর্দান্ত পারফরম্যান্স
অস্ট্রেলিয়ার স্কোর ১১১ রানে ৩ উইকেট ছিল। তখনই ওয়েস্ট ইন্ডিজ ফিরে আসে। শামার জোসেফ খাজাকে আউট করেন। এরপর তিনি বিউ ওয়েবস্টারকেও (Beau Webster) বোল্ড করেন। অ্যালেক্স কেরি (Alex Carey) টি-ব্রেকের ঠিক আগে আউট হন। হেডও টি-ব্রেকের পর দ্রুতই প্যাভিলিয়নে ফেরেন। এতে অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস নড়বড়ে হয়ে যায়। প্যাট কামিন্স (Pat Cummins) কিছু ভালো শট খেলেন। কিন্তু, তিনিও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। অস্ট্রেলিয়ার দল ১৮০ রানে অল আউট হয়ে যায়। সিলস তার পাঁচ উইকেট পূর্ণ করেন।
ওয়েস্ট ইন্ডিজও সমস্যায় পড়ল
ওয়েস্ট ইন্ডিজকে এবার ভালো ব্যাটিং করার প্রয়োজন ছিল। কিন্তু, অস্ট্রেলিয়ার বোলাররাও তাদের সমস্যায় ফেলে দেন। মিচেল স্টার্ক (Mitchell Starc) ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েটকে (Kraigg Brathwaite) আউট করেন। জন ক্যাম্পবেলও (John Campbell) ক্যারির কাছে ক্যাচ দেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৭ ওভারেই তাদের দুই ওপেনারকে হারায়। ব্রেন্ডন কিং দ্রুত রান তোলেন। তিনি ১২ বলে ১৬ রান করেন। কিন্তু, অন্য প্রান্ত থেকে অস্ট্রেলিয়ার বোলাররা উইকেট নিতে থাকেন। জশ হ্যাজলউড (Josh Hazlewood) এবং প্যাট কামিন্স একটি করে উইকেট নেন। দিনের খেলা শেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৫৭ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ এখন ব্রেন্ডন কিং এবং অধিনায়ক রোস্টন চেজের উপর ভরসা করছে। তাদের কাছ থেকে আশা করা হচ্ছে যে, তারা দলকে প্রথম ইনিংসে লিড এনে দেবেন।