‘ট্রেড করতে চাইলে যুদ্ধ বন্ধ করুন’, ট্রাম্প আবারও পুরনো দাবি পুনর্ব্যক্ত করলেন, ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধবিরতির কৃতিত্ব নিলেন

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump) আবারও শিরোনামে এসেছেন। এবার তার চাঞ্চল্যকর দাবির কারণ হলো, তিনি নিজেকে ভারত ও পাকিস্তানের (India and Pakistan) মধ্যে শান্তি স্থাপনকারী ‘মসিহা’ বলে দাবি করেছেন।
ট্রাম্পের (Trump) বক্তব্য, মে মাসে যখন ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে পরিস্থিতি অত্যন্ত উত্তেজনাপূর্ণ ছিল, তখন তিনি উভয় দেশের ওপর বাণিজ্যিক চাপ সৃষ্টি করে যুদ্ধবিরতি (ceasefire) করিয়েছিলেন।
শুধু তাই নয়, ট্রাম্প এও বলেছেন যে, যদি উভয় দেশ যুদ্ধ চালিয়ে যেত, তবে আমেরিকা (America) তাদের সাথে কোনো বাণিজ্য করত না। ট্রাম্পের এই দাবিকে পাকিস্তান (Pakistan) প্রশংসা করে তাকে নোবেল শান্তি পুরস্কারের (Nobel Peace Prize) জন্য মনোনীত করার কথা বললেও, ভারত আবারও তার বক্তব্যকে সম্পূর্ণভাবে খারিজ করে দিয়েছে। নেদারল্যান্ডসের হেগ শহরে (Hague, Netherlands) ন্যাটোর (NATO) শীর্ষ সম্মেলনের সময় এক সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প এই মন্তব্য করেন। তিনি ভারত-পাকিস্তান ছাড়াও আরও কয়েকটি বিরোধের কথা উল্লেখ করেন, যেখানে তিনি তার ভূমিকা তুলে ধরেন।
“তারপর আমি ফোন করেছিলাম এবং পরিস্থিতি বদলে গিয়েছিল”
ট্রাম্প বলেন, “ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে পরিস্থিতি খুব খারাপ হয়ে গিয়েছিল। আমি কিছু বাণিজ্যিক ফোন কল করেছিলাম এবং বলেছিলাম যে, যদি যুদ্ধ করেন তবে কোনো ট্রেড ডিল (trade deal) হবে না। এরপর উভয় দেশ আমাকে বলল – না-না, ট্রেড ডিল করতে হবে।”
পাকিস্তানি জেনারেলের সাথে সাক্ষাতের উল্লেখ
ট্রাম্প দাবি করেন যে, পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসীম মুনীর (General Asim Munir) গত সপ্তাহে ওয়াশিংটনে (Washington) তার সাথে দেখা করেছিলেন এবং তিনি তাকে বেশ প্রভাবশালী মনে করেছেন। একইসাথে তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী মোদি (Prime Minister Modi) আমার ভালো বন্ধু, একজন মহান ব্যক্তি। আমি দু’জনকেই বুঝিয়েছিলাম এবং তারা মেনে নিয়েছিল।”
ভারত আবারও ট্রাম্পের দাবি অস্বীকার করল
তবে, ভারতের পক্ষ থেকে আগের মতোই এই দাবিকে খারিজ করা হয়েছে। ভারতীয় কর্মকর্তারা বলছেন যে, পাকিস্তানের সাথে আমেরিকার আলোচনা হতে পারে, কিন্তু ভারতের সাথে এ ধরনের কোনো কথা হয়নি। ভারত আগেও স্পষ্ট করেছিল যে, তারা এ ধরনের কোনো বিদেশি হস্তক্ষেপ মানে না।
পাকিস্তান নোবেলের সুপারিশ করেছে
আকর্ষণীয় বিষয় হলো, পাকিস্তান ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ২০২৬ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত করার সুপারিশ করেছে। পাকিস্তানের বিশ্বাস যে, ট্রাম্পের উদ্যোগেই সীমান্তে শান্তি পুনরুদ্ধার সম্ভব হয়েছে।
ট্রাম্পের মন্তব্যে আবারও বিতর্ক তীব্র হলো
ট্রাম্পের এই মন্তব্যের পর ভারত-পাক সম্পর্ক নিয়ে আবারও আলোচনা তীব্র হয়েছে। তবে, এই প্রথম নয় যে ট্রাম্প এমন দাবি করেছেন। তার আগের কার্যকালেও তিনি বেশ কয়েকবার ভারত-পাকের মধ্যে মধ্যস্থতার কথা বলেছিলেন, কিন্তু ভারত প্রতিবারই তা অস্বীকার করেছিল।