ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধে ট্রাম্পের চাঞ্চল্যকর মন্তব্য – ‘আমাদের হামলা হিরোসিমা-নাগাসাকির মতো’

ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধে ট্রাম্পের চাঞ্চল্যকর মন্তব্য – ‘আমাদের হামলা হিরোসিমা-নাগাসাকির মতো’

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump) ইরান এবং ইসরায়েলের (Israel) মধ্যে সম্প্রতি শেষ হওয়া যুদ্ধ নিয়ে একটি চাঞ্চল্যকর মন্তব্য করেছেন। তিনি দাবি করেছেন যে, আমেরিকা কর্তৃক ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলিতে চালানো হামলা হিরোসিমা (Hiroshima) এবং নাগাসাকির (Nagasaki) মতো ধ্বংসাত্মক ছিল।

হেগে (Hague) অনুষ্ঠিত ন্যাটোর (NATO) শীর্ষ সম্মেলনের (Summit) পর মিডিয়ার সঙ্গে কথোপকথনে ট্রাম্প বলেন, “আমি হিরোসিমার উদাহরণ দিতে চাই না, আমি নাগাসাকির উদাহরণ দিতে চাই না, কিন্তু ইরানের উপর আমাদের হামলা একইরকম ছিল।” তিনি বলেন যে, এমন একটি নিষ্পত্তিমূলক হামলার পরই এই যুদ্ধ শেষ হয়েছে এবং এখন উভয় দেশ শান্তির ঘোষণা করেছে।

ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় মার্কিন হামলা
ডোনাল্ড ট্রাম্প জানান যে, আমেরিকা ইরানের নাতাঞ্জ (Natanz), ইসফাহান (Isfahan) এবং ফোর্দো (Fordo) স্থিত তিনটি প্রধান পারমাণবিক স্থাপনাকে লক্ষ্যবস্তু বানিয়েছে। তিনি দাবি করেছেন যে, এই হামলাগুলিতে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে এবং এই স্থাপনাগুলির গুরুতর ক্ষতি হয়েছে। ট্রাম্প বলেন যে, আমেরিকার হামলার পরই ইরান পিছু হটতে বাধ্য হয়েছে এবং যুদ্ধবিরতির পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। তবে, এই হামলার পর ইরানও কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছে।

ইরানের পাল্টা হামলা – মার্কিন ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ
আমেরিকার হামলার জবাবে ইরান কাতার (Qatar) এবং ইরাকে (Iraq) অবস্থিত মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। রিপোর্ট অনুযায়ী, ইরান কাতারে অন্তত ১০টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে, যখন ইরাকেরও বেশ কয়েকটি স্থানে হামলা চালানো হয়েছে। তবে, ট্রাম্প দাবি করেছেন যে, এই হামলাগুলিতে আমেরিকার কোনো ক্ষতি হয়নি। তিনি বলেন যে, ১২ দিন ধরে চলা এই যুদ্ধে ইরানকে বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়েছে এবং তার প্রায় ৮০০ নাগরিক মারা গেছেন, যেখানে ইসরায়েলেরও ২৪ থেকে ৩০ জন নাগরিকের প্রাণ গেছে।

১২ দিনে শেষ হলো ইসরায়েল-ইরান যুদ্ধ
ডোনাল্ড ট্রাম্প জানান যে, এই যুদ্ধ ১২ দিন ধরে চলেছিল এবং ২০২৫ সালের ২৪শে জুন যুদ্ধবিরতির আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হয়েছিল। তিনি এও বলেন যে, এখন ইরান এবং ইসরায়েলের মধ্যে পুনরায় হামলার কোনো সম্ভাবনা নেই। যুদ্ধের সময় ইসরায়েল ইরানের সামরিক ও পারমাণবিক স্থাপনাগুলিকে লক্ষ্যবস্তু বানিয়েছিল, যেখানে ইরান ইসরায়েলি শহর যেমন তেল আবিব (Tel Aviv) এবং হাইফার (Haifa) উপর ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছিল। মার্কিন মধ্যস্থতার কারণে উভয় দেশ যুদ্ধ শেষ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে, ট্রাম্পের এই মন্তব্যের পর পশ্চিম এশিয়ায় আমেরিকার ভূমিকা এবং এই যুদ্ধের নৈতিকতা নিয়েও বিতর্ক শুরু হয়েছে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *