সৌদি আরবে কীভাবে পালিত হয় মহরম, সেখানেও কি ভারতের মতো শোভাযাত্রা বের হয়?
মুসলিমদের কাছে মহরম (Muharram) ইসলামিক ক্যালেন্ডারের (Islamic Calendar) প্রথম মাস। এই মাসটি ইসলামে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মুসলিম ধর্মে এটি রমজানের (Ramadan) পর খুব পবিত্র মাস, যেখানে আশুরা (Ashura) দশম দিনে পড়ে।
২০২৫ সালে মহরমের পবিত্র মাস ২৭শে জুন, ২০২৫ তারিখে শুরু হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এরপর মহরমের দশম দিন ৬ই জুলাই, ২০২৫ তারিখে আশুরা পালিত হবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। মহরম মাসটি মূলত শোকের সময় হিসেবে পালিত হয়। এই সময়ে মুসলমানরা কালো পোশাক পরে তাদের দুঃখ প্রকাশ করে এবং অনেকে রোজা (Fasting) রাখে। চলুন জেনে নিই সৌদি আরবে মহরম কীভাবে পালিত হয়।
কেন মহরম পালন করা হয়?
মহরমের সময় এমনটা মনে করা হয় যে ইমাম হোসেন (Imam Hussain) এবং তার সঙ্গীরা ক্ষুধা-পিপাসায় কষ্ট পেয়ে কারবালার (Karbala) ট্র্যাজেডিতে শহীদ হয়েছিলেন। এর জন্য প্রচুর সংখ্যক মানুষ তাজিয়া (শোভাযাত্রা) এর জন্য একত্রিত হয় এবং শোক পালন করে। সেই সময় তারা কারবালার ঘটনাগুলো স্মরণ করে এবং বুক চাপড়ানোর মতো প্রথাগুলো এতে অন্তর্ভুক্ত থাকে। এই দিনটি তাদের আত্মত্যাগ এবং সত্যের প্রতি অবিচল উৎসর্গকে অনুপ্রাণিত করে।
সৌদি আরবেও কি মহরমের শোভাযাত্রা বের হয়?
সৌদি আরবেও মহরমের উৎসব হয়, কিন্তু সেখানে ভারতের মতো প্রকাশ্যে শোভাযাত্রা বের হয় না এবং সাধারণত শোক পালন করা হয় না। সংবাদ অনুযায়ী, সৌদি আরবে শিয়া (Shia) মুসলমানরা গোপনে বা ব্যক্তিগতভাবে শোক পালন করে। সেখানে প্রকাশ্যে প্রদর্শন বা শোভাযাত্রা বের করা নিষিদ্ধ। সেখানকার আইন অনুযায়ী, সৌদি আরবে শোভাযাত্রা বের করা বা শোক পালন করা বেআইনি এবং এমনটা করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে।
সৌদি আরবে মহরম কীভাবে পালিত হয়?
সৌদি আরবের কিছু জায়গায়, বিশেষ করে যে অঞ্চলগুলিতে শিয়া জনসংখ্যা বেশি, সেখানে ১০ দিন ধরে গোপনে শোক পালন করা হয়। এছাড়াও, সেখানে লোকেরা সাবিইল (Sabill – জল পান করানোর স্থান) স্থাপন করে। তবে সেখানেও এই কাজ সাধারণত ভারতীয় মুসলমান বা পাকিস্তানি বা বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত লোকেরা করে থাকে। সেখানকার স্থানীয় লোকেরা এই কাজ করে না।