এয়ার ইন্ডিয়া বিমান দুর্ঘটনায় বড় সাফল্য, ব্ল্যাক বক্সের মেমরি অ্যাক্সেস করা হয়েছে, ডেটা পুনরুদ্ধারের প্রক্রিয়া শুরু

এয়ার ইন্ডিয়ার ফ্লাইট (Flight) গত ১২ জুন আহমেদাবাদে (Ahmedabad) উড্ডয়নের পরপরই বিধ্বস্ত হয়েছিল। এই দুর্ঘটনার তদন্তকারী এয়ারক্রাফট অ্যাকসিডেন্ট ইনভেস্টিগেশন ব্যুরো (Aircraft Accident Investigation Bureau – AAIB) একটি বড় সাফল্য পেয়েছে। সরকার বৃহস্পতিবার জানিয়েছে যে, বিমানের ব্ল্যাক বক্স থেকে ককপিট ভয়েস রেকর্ডার (Cockpit Voice Recorder – CVR) এবং ফ্লাইট ডেটা রেকর্ডার (Flight Data Recorder – FDR) নিরাপদে উদ্ধার করা হয়েছে, তাদের ডেটা ডাউনলোড করা হয়েছে এবং এখন তাদের বিশ্লেষণ (Analysis) শুরু হয়েছে।
বিমান দুর্ঘটনার তদন্তে এই দুটি রেকর্ডার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
ব্ল্যাক বক্স থেকে কী পাওয়া গেল?
ব্ল্যাক বক্স ২৪ জুন আহমেদাবাদ থেকে দিল্লিতে (Delhi) আনা হয়েছিল, যেখানে এটি এয়ারক্রাফট অ্যাকসিডেন্ট ইনভেস্টিগেশন ব্যুরোর ল্যাবরেটরিতে (Laboratory) খোলা হয়েছিল। এরপর ক্র্যাশ প্রোটেকশন মডিউল (Crash Protection Module – CPM) নিরাপদে বের করা হয়। এর মেমরি সফলভাবে অ্যাক্সেস করে ডেটা ডাউনলোড করা হয়েছে।
উল্লেখযোগ্য যে, এই দুর্ঘটনায় ২৭৫ জনের জীবনহানি হয়েছিল। বিমানে থাকা ২৪২ জনের মধ্যে ২৪১ জন মারা গিয়েছিলেন। বিমান দুর্ঘটনায় শুধুমাত্র একজন ব্যক্তি, বিশ্বাস কুমার রমেশ (Vishwas Kumar Ramesh), বেঁচে ছিলেন।
সিভিআর (CVR) এবং এফডিআর (FDR) কী?
সিভিআর (CVR) হলো ককপিট ভয়েস রেকর্ডার, এতে পাইলটদের (Pilot) কথোপকথন এবং ককপিটের আওয়াজ রেকর্ড হয়, যার মাধ্যমে দুর্ঘটনার ঠিক আগে কী পরিস্থিতি ছিল তা জানা যায়।
এফডিআর (FDR) হলো ফ্লাইট ডেটা রেকর্ডার, এটি বিমানের গতি, উচ্চতা, ইঞ্জিনের (Engine) অবস্থা, দিক এবং অন্যান্য প্রযুক্তিগত তথ্য রেকর্ড করে।
তদন্তের উদ্দেশ্য কী?
সিভিআর এবং এফডিআর থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে দুর্ঘটনার আগে পুরো ঘটনা প্রবাহ পুনরায় বোঝার চেষ্টা করা হচ্ছে।
বিশ্লেষণ থেকে জানা যাবে যে, দুর্ঘটনার পেছনে কোনো প্রযুক্তিগত ত্রুটি, পাইলটের ভুল নাকি কোনো বাহ্যিক কারণ ছিল।