ইরানের ‘ধন্যবাদ ভারত’: বিশ্ব রাজনীতিতে নতুন ঝড়?

ইরান-ইসরায়েল সংঘাতের মাঝে ইরানের ভারতের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ বিশ্বব্যাপী আলোচনার জন্ম দিয়েছে। নয়াদিল্লির ইরানি দূতাবাস সোশ্যাল মিডিয়ায় এক আবেগপ্রবণ বার্তায় ভারতের জনগণ, রাজনৈতিক দল, সংসদ সদস্য, ধর্মীয় নেতা, গণমাধ্যম ও সামাজিক কর্মীদের ধন্যবাদ জানিয়েছে। ইরান ভারতকে “শান্তি ও ন্যায়বিচারের সমর্থক” এবং তাদের “বিজয়ের অংশীদার” হিসেবে উল্লেখ করেছে। এই স্বীকৃতি দুই দেশের ঐতিহাসিক সাংস্কৃতিক ও মানবিক সম্পর্কের প্রতিফলন, যা পশ্চিমা মিডিয়ার “নীরব পর্যবেক্ষক” তকমার বিপরীতে ইরানের কাছে ভারতকে “প্রতিরোধের সঙ্গী” হিসেবে তুলে ধরেছে। এই প্রশংসা ভারতের ক্রমবর্ধমান বৈশ্বিক প্রভাব ও কূটনৈতিক ভারসাম্যের ইঙ্গিত দেয়।
তবে, এই কৃতজ্ঞতার পাশাপাশি ইরানে ইসরায়েলের পক্ষে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে তিনজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়েছে, মোট ছয়জন ফাঁসিতে ঝুলেছেন। মানবাধিকার সংস্থাগুলি এটিকে রাজনৈতিক ভিন্নমত দমনের কৌশল বলে অভিযোগ করেছে। এই ঘটনা প্রশ্ন তুলেছে—ইরানের “বিজয়” কি রক্তপাতের মূল্যে অর্জিত? ভারতের প্রতি এই ধন্যবাদ কি মানবাধিকার বিতর্ক থেকে দৃষ্টি সরানোর চেষ্টা? ইসরায়েল ও আমেরিকা নীরব থাকলেও, ভারতের এই ভূমিকা বিশ্ব রাজনীতিতে নতুন জোটের সম্ভাবনা তুলে ধরেছে। ভারত কি মধ্যপ্রাচ্যের নতুন অক্ষের অংশীদার হবে, নাকি নিরপেক্ষতা বজায় রাখবে? এই কৃতজ্ঞতা ভারতের জন্য সম্মান হলেও, এটি কূটনৈতিক চ্যালেঞ্জ নিয়ে এসেছে।