চিন-পাক-এর উপর ভয়ের মেঘ! ভারত তৈরি করল সেই ভয়ঙ্কর অস্ত্র, শত্রুর উপর শব্দের গতির ২১ গুণ বেগে আঘাত হানবে!

বিশ্ব তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের আঁচ অনুভব করছে। এমন পরিস্থিতিতে যারা শক্তিশালী হবে, বিজয় পতাকা তাদেরই উড়বে। এই বিষয়টি মাথায় রেখে ভারত তার সামরিক প্রস্তুতিকে নতুন দিশা দিয়েছে। ভারতের প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা (DRDO) একটি সুপার অ্যাডভান্সড হাইপারসোনিক গ্লাইড ভেহিকেল (HGV) ভিত্তিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা ‘ধ্বনি’ তৈরি করছে। এই ক্ষেপণাস্ত্র শুধু ভারতের প্রতিরক্ষা ক্ষমতাকেই শক্তিশালী করবে না, বরং বিশ্বের দরবারে ভারতকে প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে একটি শক্তিশালী খেলোয়াড় হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করবে।
জানা গেছে যে, ‘ধ্বনি’ একটি অসাধারণ ক্ষেপণাস্ত্র হবে। এটিকে একটি শক্তিশালী রকেট দিয়ে উচ্চতায় উৎক্ষেপণ করা হবে। যার পরে এটি হাইপারসোনিক গতিতে তার লক্ষ্যস্থলে পৌঁছাতে পারবে। শুধু তাই নয়, এটি শত্রুর রাডারকেও ফাঁকি দিতে পারে, যার ফলে এটিকে আটকানো প্রায় আসাম্ভব।
‘ধ্বনি’ ক্ষেপণাস্ত্রের বৈশিষ্ট্য এবং ভারতের জন্য এর গুরুত্ব
‘ধ্বনি’ ক্ষেপণাস্ত্রের কয়েকটি প্রধান বৈশিষ্ট্য নিচে দেওয়া হলো:
পথ পরিবর্তন ক্ষমতা: এটি উড়ানের সময় নিজের পথ পরিবর্তন করতে পারে, যার ফলে শত্রুর ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এটিকে ধরতে ব্যর্থ হবে।
বিশাল পাল্লা: ৫,৫০০+ কিলোমিটার পাল্লা সহ, এই ক্ষেপণাস্ত্রটি এশিয়া, ইউরোপ এবং উত্তর আমেরিকার কিছু অংশে পৌঁছাতে পারে। এটি এটিকে আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র (ICBM) এর শ্রেণিতে নিয়ে আসে।
বহন ক্ষমতা: এই ক্ষেপণাস্ত্রটি প্রচলিত এবং পারমাণবিক উভয় ধরনের পেলোড বহন করতে সক্ষম, যা এটিকে আরও মারাত্মক করে তোলে।
তাপ সুরক্ষা: বায়ুমণ্ডলীয় ঘর্ষণ থেকে উৎপন্ন ৩০০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত তাপ সহ্য করার জন্য এতে একটি বিশেষ তাপ সুরক্ষা ব্যবস্থা রয়েছে।
রাডার ফাঁকি: এর মিশ্র উইং-বডি ডিজাইন এটিকে রাডারে প্রায় অদৃশ্য হতে সাহায্য করে।
অবিশ্বাস্য গতি: এর একটি বড় বৈশিষ্ট্য হলো এটি ম্যাক ২১ অর্থাৎ প্রায় ২৫,০০০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা গতিতে উড়বে। এটি শব্দের গতির ২১ গুণ দ্রুত হবে, যার গতি ১২৩৫ কিমি/ঘণ্টা।
২০২৯-৩০ সালের মধ্যে ‘ধ্বনি’ ক্ষেপণাস্ত্রটি ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর অংশ হতে পারে। DRDO ইতিমধ্যেই ম্যাক ৬ ভিত্তিক হাইপারসোনিক টেকনোলজি ডেমোনস্ট্রেটর ভেহিকেল (HSTDV)-এর সফল পরীক্ষা করেছে, যা ‘ধ্বনি’-র ভিত্তি তৈরি করেছে।
‘ধ্বনি’ ক্ষেপণাস্ত্র ভারতকে সেই নির্বাচিত দেশগুলোর শ্রেণিতে নিয়ে আসবে যাদের হাইপারসোনিক অস্ত্রের প্রযুক্তি রয়েছে, যেমন আমেরিকা, রাশিয়া এবং চীন। এর সাথে, ‘ধ্বনি’ অন্তর্ভুক্ত হলে ভারতের সামরিক শক্তি বাড়বে এবং বৈশ্বিক মঞ্চে ভারতের অবস্থান আরও শক্তিশালী হবে। ‘ধ্বনি’-র মাধ্যমে ভারত শুধু তার নিরাপত্তা নিশ্চিত করছে না, বরং বৈশ্বিক প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে একটি নতুন অধ্যায়ও লিখছে।