ট্রাম্পের হামলার ক্ষয়ক্ষতির দাবি বাড়িয়ে বলা, পোল খুলে দিলেন খামেনি!

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি বৃহস্পতিবার বলেছেন যে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানি পরমাণু কেন্দ্রগুলোতে মার্কিন হামলার প্রভাবকে ‘বাড়িয়ে’ দেখিয়েছেন। যুদ্ধবিরতির পর তার প্রথম ভাষণে আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি এই দাবি করেছেন।
ইরানের তিনটি পরমাণু স্থাপনা ফোরদো, নাতানজ এবং ইসফাহানে মার্কিন বোমাবর্ষণের পর প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেছিলেন যে তিনি ইরানের পরমাণু কর্মসূচি শেষ করে দিয়েছেন এবং এমনটা কেবল আমেরিকা-ই করতে পারে। একই সঙ্গে তিনি হুমকি দিয়েছিলেন যে ইরান যেন কোনো শর্ত ছাড়াই আত্মসমর্পণ করে।
ইজরায়েলের বিরুদ্ধে ‘বিজয়ের’ দাবি ও আমেরিকাকে হুঁশিয়ারি
সরকারি টেলিভিশনে দেওয়া ভাষণে তিনি ইজরায়েলের বিরুদ্ধে তার দেশের ‘বিজয়’-এর প্রশংসা করেন এবং আমেরিকার কাছে কখনো আত্মসমর্পণ না করার শপথ নেন। একই সঙ্গে তিনি দাবি করেন যে, ইরানের পরমাণু কেন্দ্রগুলোতে হামলা করার পর ওয়াশিংটনের উপর একটি ‘চড়’ পড়েছে।
যুদ্ধবিরতির দুই দিন পর খামেনির এই মন্তব্য এসেছে, যার অধীনে ইরান এবং ইজরায়েলের মধ্যে ১২ দিনের যুদ্ধ বন্ধ হয়েছিল। এটি ইতিহাসে তাদের দুজনের মধ্যে সবচেয়ে মারাত্মক এবং ধ্বংসাত্মক সংঘাত ছিল। খামেনি বলেছেন, “মার্কিন প্রেসিডেন্ট অস্বাভাবিক উপায়ে ঘটনাগুলোকে বাড়িয়ে দেখিয়েছেন।” তিনি বলেন যে, আমেরিকা এই যুদ্ধ থেকে কিছুই অর্জন করতে পারেনি, এবং আরও দাবি করেন যে মার্কিন হামলা ইরানের পরমাণু কেন্দ্রগুলোর তেমন কোনো ক্ষতি করতে পারেনি।
‘আমরা মার্কিন ঘাঁটিগুলোতে হামলা করতে সক্ষম’ – খামেনি
খামেনি এও বলেছেন যে, এটা সত্যি যে ইসলামিক প্রজাতন্ত্রের এই অঞ্চলের প্রধান মার্কিন কেন্দ্রগুলোতে প্রবেশাধিকার রয়েছে এবং যখনই প্রয়োজন মনে করবে, তখনই পদক্ষেপ নিতে পারে। তিনি কাতারের মার্কিন বিমান ঘাঁটিতে হামলার কথা উল্লেখ করে বলেছেন যে, ভবিষ্যতে এই ধরনের পদক্ষেপ পুনরাবৃত্তি হতে পারে। একই সঙ্গে তিনি বলেছেন যে, যদি কোনো হামলা হয়, তাহলে শত্রুকে অবশ্যই চরম মূল্য দিতে হবে।