ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি (আইআইটি) কানপুর অত্যাধুনিক ড্রোন তৈরি করে আরও একবার তাদের প্রযুক্তিগত ক্ষমতার প্রমাণ দিয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি এমন একটি ড্রোন তৈরি করেছে যা পাকিস্তানের লাহোর এবং সিয়ালকোট পর্যন্ত নজরদারি করতে পারবে। এই ড্রোনগুলোর মধ্যে সুসাইড ড্রোন থেকে শুরু করে পণ্য বহনকারী ড্রোনও অন্তর্ভুক্ত, যা সেনাবাহিনীর কৌশলগত চাহিদা পূরণে সক্ষম প্রমাণিত হতে পারে।

আইআইটি কানপুরের অ্যারোস্পেস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক অভিষেক জানিয়েছেন যে, সেনাবাহিনীর চাহিদা অনুযায়ী একটি বিশেষ ড্রোন তৈরি করা হয়েছে। এই ড্রোনটির নাম “ভিবর্ম ড্রোন” রাখা হয়েছে, যা পাইলট প্রকল্পের অধীনে তৈরি করা হয়েছে এবং এর জন্য ইতিমধ্যেই বেশ কিছু অর্ডার পাওয়া গেছে।

ভিবর্ম ড্রোনের বৈশিষ্ট্য এবং মূল্য
অধ্যাপক অভিষেকের মতে, ভিবর্ম ড্রোন অন্যান্য ড্রোন থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। এই ড্রোনটি ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত শত্রুর আস্তানায় নজরদারি করতে সক্ষম। এর উড়ন্ত ক্ষমতা এবং দীর্ঘ সময় ধরে আকাশে থাকার বৈশিষ্ট্যই এটিকে অন্য ড্রোন থেকে আলাদা করে তোলে। ড্রোনটিতে ২৫ লক্ষ টাকা মূল্যের হাই-ভিজিবিলিটি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে, যা প্রতিটি ছোট-বড় কার্যকলাপ স্পষ্টভাবে ক্যাপচার করতে পারে। অধ্যাপক অভিষেক জানান যে, ড্রোনের মূল্য এর সুবিধার উপর নির্ভর করে এবং বর্তমানে এর আনুমানিক খরচ প্রায় ১ কোটি টাকা। ড্রোনটিতে আরও উন্নত সুবিধা যোগ করার কাজ চলছে, যার ফলে এর ক্ষমতা এবং কার্যকারিতা বৃদ্ধি পাবে।

টিথার ড্রোন এবং সেনাবাহিনীর জন্য এর উপযোগিতা
আইআইটি কানপুর টিথার ড্রোন নিয়েও কাজ করছে, যা প্রায় প্রস্তুত। এই ইলেকট্রনিক ড্রোনটি ব্যাটারি দ্বারা চালিত হবে এবং ১০০ মিটার উচ্চতায় ৮ ঘণ্টা পর্যন্ত একটানা উড়তে সক্ষম। এর দাম ২ কোটি থেকে ৫ কোটি টাকার মধ্যে, যা এর বৈশিষ্ট্য এবং প্রযুক্তিগত উন্নতির উপর নির্ভর করে।

আইআইটি কানপুরের এই ড্রোনগুলি সেনাবাহিনীকে নজরদারি, রসদ সরবরাহ এবং কৌশলগত অপারেশনে শক্তিশালী করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। অধ্যাপক অভিষেক জানান যে, ভারতীয় সেনাবাহিনীর চাহিদা আরও ভালোভাবে পূরণ করার জন্য এই ড্রোনগুলির উন্নয়নে ক্রমাগত উন্নতি করা হচ্ছে। এই প্রচেষ্টা কেবল প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনকেই উৎসাহিত করছে না, বরং প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে আত্মনির্ভরতার দিকেও একটি বড় পদক্ষেপ।