বৃহস্পতিবার, জাতীয় রাজধানীর বুলিয়ন বাজারে সোনার দাম প্রতি ১০ গ্রামে ৯৮,৬০০ টাকায় স্থিতিশীল ছিল। অল ইন্ডিয়া বুলিয়ন অ্যাসোসিয়েশন এই তথ্য জানিয়েছে। ৯৯.৫ শতাংশ বিশুদ্ধ সোনার দামও প্রতি ১০ গ্রামে ৯৮,০৫০ টাকা (সমস্ত কর সহ) স্থিতিশীল ছিল।

রূপার সর্বশেষ দর
বৃহস্পতিবার রূপার দাম প্রতি কিলোগ্রামে ১,০৩,১০০ টাকা (সমস্ত কর সহ) স্থিতিশীল ছিল।

বিশ্ববাজারে সোনার দাম
বৈশ্বিক বাজারে, স্পট সোনা সামান্য বেড়ে প্রতি আউন্সে $৩,৩৩৪.৪১ হয়েছে। এইচডিএফসি সিকিউরিটিজের সিনিয়র বিশ্লেষক (পণ্য) সৌমিল গান্ধী বলেছেন, “ফাটকাবাজদের ক্রয় এবং দুর্বল মার্কিন ডলারের কারণে বৃহস্পতিবার সোনার দামে সামান্য বৃদ্ধি দেখা গেছে।” অন্যদিকে, মার্কিন ডলার সূচক ৯৭-এর নিচে নেমে এসেছে, যা মার্চ, ২০২২ সালের পর এর সর্বনিম্ন স্তর।

মার্কিন অর্থনীতি ও সুদের হার
তিনি বলেন, “এই পতন হতাশাজনক মার্কিন অর্থনৈতিক তথ্য, দেশের অর্থনৈতিক স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগ এবং সম্ভাব্য সুদের হার কমানোর বিষয়ে ক্রমবর্ধমান জল্পনা-কল্পনার কারণে হয়েছে। এছাড়াও, ক্রমবর্ধমান রাজস্ব উদ্বেগও মার্কিন ডলারের উপর চাপ সৃষ্টি করেছে, যেখানে মূল্যবান ধাতুগুলি সমর্থন পেয়েছে।”

ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি ও বাজার
এদিকে, সোনা ব্যবসায়ীরা ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধবিরতির খবর দ্বারা এখন আর বেশি প্রভাবিত হচ্ছেন না। গান্ধী বলেছেন যে, এখন মনোযোগ ব্যবসা চুক্তি সম্পর্কিত উন্নয়ন এবং আসন্ন মার্কিন অর্থনৈতিক তথ্যের উপর, যা আগামী দিনে বুলিয়ন এবং ডলারের প্রবণতাকে প্রভাবিত করবে বলে আশা করা হচ্ছে। তিনি বলেন যে, বাজারের অংশগ্রহণকারীরা মার্কিন অর্থনীতির স্বাস্থ্য সম্পর্কে আরও তথ্য জানতে মার্কিন জিডিপি, টেকসই পণ্যের অর্ডার এবং প্রাথমিক বেকারত্ব দাবির মতো সামষ্টিক অর্থনৈতিক তথ্যের উপর ঘনিষ্ঠভাবে নজর রাখছেন।