হাউজিং অ্যাফোর্ডেবিলিটি: আরবিআই (RBI) এই বছর রেপো রেট কমানোর পর হোম লোনের ইএমআই (EMI)ও সস্তা হয়েছে। এর ফলে ২০২৫ সালের প্রথম ৬ মাসে ভারতের ৮টি বড় শহরের মধ্যে বাড়ি কেনার সামর্থ্যও (Housing Affordability) উন্নত হয়েছে।

নাইট ফ্র্যাঙ্ক ইন্ডিয়ার H1 ২০২৫-এর সর্বশেষ অ্যাফোর্ডেবিলিটি ইনডেক্স অনুসারে, যেসব শহরে বাড়ি কেনা সস্তা হয়েছে, সেগুলোর মধ্যে আহমেদাবাদ, পুনে এবং কলকাতার নামও রয়েছে।

আহমেদাবাদ সবচেয়ে সাশ্রয়ী আবাসন বাজার
এই ইনডেক্স দেশের নির্বাচিত শহরগুলিতে আবাসন সামর্থ্য ট্র্যাক করেছে। এতে দেখা গেছে যে দেশের ৮টি প্রধান শহরের মধ্যে গুজরাটের আহমেদাবাদ শহর সবচেয়ে সাশ্রয়ী আবাসন বাজার। আহমেদাবাদে মানুষ তাদের গড় আয়ের মাত্র ১৮ শতাংশই হোম লোনের ইএমআই-তে খরচ করে। এটি ৪০ শতাংশ অ্যাফোর্ডেবিলিটি লিমিট থেকেও অনেক কম, যার ফলে এটি বাড়ি ক্রেতাদের জন্য সবচেয়ে বেশি বাজেট-বান্ধব শহর হিসাবে উঠে এসেছে।

এই ভিত্তিতে গণনা করা হয়
জানিয়ে রাখা ভালো যে, সাশ্রয়ী আবাসন বাজারের গণনা ইএমআই/ইনকাম রেশিও-এর ভিত্তিতে করা হয়। অর্থাৎ, আপনি যে বেতন পান তার কত শতাংশ ইএমআইতে যায়। সাধারণত মাসিক আয়ের ৪০ শতাংশের বেশি ইএমআই পরিশোধে যাওয়া উচিত নয়। উদাহরণস্বরূপ, যদি আপনার বেতন ৫০,০০০ টাকা হয়, তাহলে ইএমআই/ইনকাম রেশিও অনুযায়ী, ৫০,০০০ টাকার ৪০ শতাংশ ২০,০০০ টাকা হবে, তাই এই পরিমাণ টাকাই হোম লোনের ইএমআইতে যাওয়া উচিত। ইএমআই/ইনকাম রেশিও যত বেশি হবে, বাড়ি ক্রেতার উপর তত বেশি চাপ বাড়বে।

দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে রয়েছে এই শহরগুলি
এই ইনডেক্সে ২২ শতাংশ অ্যাফোর্ডেবিলিটি রেশিও নিয়ে পুনে দ্বিতীয় এবং ২৩ শতাংশ অ্যাফোর্ডেবিলিটি রেশিও নিয়ে কলকাতা তৃতীয় স্থানে রয়েছে। ইনডেক্সে মুম্বাইকে দেশের সবচেয়ে ব্যয়বহুল শহর বলা হয়েছে। এখানকার অ্যাফোর্ডেবিলিটি রেশিও রিজার্ভ ব্যাংকের রেপো রেট কমানোর পর ৫০ শতাংশ থেকে কমে ৪৮ শতাংশে এলেও, এটি এখনও অন্য শহরগুলির তুলনায় বেশি। ইনডেক্স থেকে জানা গেছে যে ন্যাশনাল ক্যাপিটাল রিজিওন (NCR)-এর মানুষ এখন তাদের আয়ের ২৮ শতাংশ ইএমআইতে খরচ করছে। একইভাবে, হায়দ্রাবাদের ইএমআই/ইনকাম রেশিও ৩০ শতাংশ।