রাতের আঁধারে শালী-জামাইবাবুর রহস্যময় সাক্ষাৎ, দিদি জানতে পেরে স্তম্ভিত!

মধ্যপ্রদেশের ইন্দোর থেকে এক অদ্ভুত ঘটনা সামনে এসেছে। এখানে একজন শালী তার দুলাভাইয়ের সঙ্গে এমন এক ষড়যন্ত্র করলেন যে, দিদি যখন শুনলেন, তখন তার চোখ কপালে উঠে গেল। শালী একজন ব্যক্তির সঙ্গে লিভ-ইন সম্পর্কে থাকতেন। তার মনে হতো যে সেই ব্যক্তি তাকে ছেড়ে চলে যাবে। এমন অবস্থায়, একদিন দুলাভাইকে গভীর রাতে বোরখা পরে এসে একটি কাজ করতে বললেন। যখন দুলাভাই বোরখা পরে এলেন, তখন হৈচৈ শুরু হয়ে গেল। এরপর যখন ঘটনাটি থানায় পৌঁছাল, তখন সবাই হতবাক হয়ে গেলেন।
ঘটনাটি ঠিক কী?
ঘটনাটি ইন্দোরের পালাসিয়া থানা এলাকার। গত ১৩ মার্চ শুভ লাভ প্রাইম টাউনশিপে বসবাসকারী পার্লার পরিচালিকা শিওয়ালি জাদাউন থানায় গিয়ে অভিযোগ করেন যে তার ফ্ল্যাট থেকে ৪টি ব্যাগ চুরি হয়ে গেছে। তিনি পুলিশকে জানান যে তিনি কিছু কাজে বাইরে গিয়েছিলেন, যখন ফিরে এলেন তখন ফ্ল্যাটের দরজা ভাঙা ছিল। আর ঘরের আলমারিতে রাখা চারটি ব্যাগ গায়েব ছিল। এর মধ্যে ৩টি ব্যাগ তার লিভ-ইন পার্টনার অঙ্কুশের ছিল। তদন্তে জানা যায় যে, ব্যাগগুলিতে সম্পত্তি সংক্রান্ত প্রায় দেড় কোটি টাকা রাখা ছিল।
পুলিশ কর্মকর্তারা তৎপর
ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসার পর পুলিশ কর্মকর্তারা তৎপর হয়ে ওঠেন। তদন্ত করার সময় সিসিটিভি ফুটেজ পাওয়া যায়। এতে বোরখা পরা ২ জন অভিযুক্তকে দেখা যায়। এরপর পুলিশ বোরখা পরে চুরি করা দুই চোরকে গ্রেপ্তার করে। সবচেয়ে চমকপ্রদ বিষয় ছিল যে, এই চোরদের মধ্যে একজন বরখাস্তকৃত পুলিশকর্মী, যিনি অভিযোগকারী শিওয়ালি জাদাউনের দুলাভাই।
ছোটখাটো কাজ করে দিন কাটাতো
চুরির পর দুজনেই টাকায় ভরা ব্যাগ তাদের সঙ্গী প্রবীণকে দিয়ে দেয়, যার সন্ধান পুলিশ করছে। পুলিশ শিওয়ালিকেও আটক করেছে। তদন্তে জানা যায় যে অভিযুক্ত ধীরু থাপা পূর্বে পুলিশ বিভাগে কনস্টেবল ছিলেন। তার নিয়োগ হয়েছিল খান্ডওয়াতে। ২০১০ সালে অপরাধমূলক কার্যকলাপে জড়িত থাকার কারণে তাকে পুলিশ বিভাগ থেকে বরখাস্ত করা হয়েছিল। বরখাস্ত হওয়ার পর তিনি ছোটখাটো কাজ করে দিন কাটাতেন।
বোনের চোখ কপালে
অন্যদিকে, শালী শিওয়ালি দীর্ঘদিন ধরে অঙ্কুশের সঙ্গে থাকতেন, কিন্তু তার সন্দেহ ছিল যে অঙ্কুশ তাকে যেকোনো সময় ছেড়ে দিতে পারে। অঙ্কুশ বেশিরভাগ সময় তার ব্যবসার টাকা শুভ লাভ প্রাইম টাউনশিপে এনে রাখত। শিওয়ালি এই কথা তার দুলাভাই ধীরু থাপাকে জানায়, যার পরে সবাই মিলে চুরির পরিকল্পনা করে। যখন পুরো সত্য সামনে আসে, তখন অভিযুক্ত শিওয়ালির বোন অবাক হয়ে যান। এই বিষয়ে তার বিন্দুবিসর্গও জানা ছিল না। পুলিশ উভয় অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে।