প্রতি ১০টি সাইবার প্রতারণার মধ্যে ৮টি এআই দ্বারা! ভারতে ২৩,০০০ কোটি টাকার ক্ষতি, আপনি কি পরবর্তী শিকার?

ভারত দ্রুত ডিজিটালাইজড হচ্ছে, কিন্তু এর সাথে সাইবার অপরাধও আগের চেয়ে বেশি বিপজ্জনক হয়ে উঠছে। যেখানে এক দিকে প্রযুক্তি সাধারণ জীবনকে সহজ করে তুলছে, সেখানেই অন্যদিকে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (AI)-এর মতো উদ্ভাবনী সরঞ্জামগুলি এখন সাইবার অপরাধীদের জন্য সবচেয়ে বড় অস্ত্র হয়ে উঠেছে।
একটি সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে দেখা গেছে যে ভারতে প্রতি ১০টি সাইবার প্রতারণার মধ্যে ৮টিতেই এআই (AI) ব্যবহার করা হচ্ছে।
‘দ্য স্টেট অফ এআই-পাওয়ার্ড সাইবারক্রাইম: থ্রেট অ্যান্ড মিটিগেশন রিপোর্ট ২০২৫’, যা GIREM এবং টেকনোলজি কো ম্পা নি টেকিয়ন (Tekion) তৈরি করেছে, সম্প্রতি বেঙ্গালুরুতে কর্ণাটকের পুলিশ মহাপরিদর্শক এমএ সেলিম দ্বারা প্রকাশ করা হয়েছে। এই রিপোর্টে বেশ কিছু চমকপ্রদ তথ্য সামনে এসেছে।
সাইবার অপরাধীরা এখন হোটেল এবং রেস্তোরাঁ চেইনগুলিকে লক্ষ্য করে এআই-এর সাহায্যে তৈরি করা ফিশিং ইমেল পাঠাচ্ছে। এগুলিতে বড় ব্র্যান্ডগুলির মতো দেখতে এআই-জেনারেটেড টেমপ্লেট, নকল ডোমেইন এবং ইন্টারেক্টিভ ফিশিং পেজ ব্যবহার করা হয়, যা ব্যবহারকারীকে আসল সাইটের মতো অভিজ্ঞতা দেয় এবং তারা প্রতারিত হয়ে ব্যক্তিগত তথ্য শেয়ার করে দেয়।
চমকপ্রদ পরিসংখ্যান এবং বাড়তি ঝুঁকি
রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২৪ সালে ভারতে ১৯.১ লক্ষেরও বেশি সাইবার অপরাধের অভিযোগ নথিভুক্ত হয়েছে, যা ২০২৩ সালের তুলনায় অনেক বেশি। ২০১৯ সালের তুলনায় এই সংখ্যা ১০ গুণ বেড়েছে। সবচেয়ে বেশি অভিযোগ আর্থিক প্রতারণা সম্পর্কিত ছিল। গত বছর ভারতে ২.৭৮ বিলিয়ন ডলার (প্রায় ২৩,০০০ কোটি টাকা) ক্ষতি হয়েছে, যা ২০২৩ সালের তুলনায় তিন গুণ এবং ২০২২ সালের তুলনায় প্রায় দশ গুণ বেশি।
ক্রিপ্টো হামলায় ভারত দ্বিতীয় স্থানে
রিপোর্টে বলা হয়েছে যে, ২০২৪ সালে ক্রিপ্টো হামলার ক্ষেত্রে ভারত আমেরিকার পর দ্বিতীয় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত দেশ ছিল, যেখানে ৯৫টি মামলা নথিভুক্ত হয়েছে। এছাড়াও, দেশে ম্যালওয়্যারে ১১ শতাংশ, র্যানসমওয়্যারে ২২ শতাংশ এবং আইওটি (IoT) হামলায় ৫৯ শতাংশ বার্ষিক বৃদ্ধি রেকর্ড করা হয়েছে। সবচেয়ে উদ্বেগের বিষয় হলো, এই হামলাগুলির শিকার সবচেয়ে বেশি হবে কম বয়সী ব্যবহারকারী, মহিলা এবং শিশুরা।