আমেরিকার নিউইয়র্ক শহরে মেয়র নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এই নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক সোশ্যালিস্ট জোহরান মামদানিও মাঠে রয়েছেন। তার জয় নিশ্চিত বলে মনে করা হচ্ছে। জানা গেছে, মামদানির ক্রমবর্ধমান জনভিত্তি দেখে নিউইয়র্কের প্রাক্তন গভর্নর অ্যান্ড্রু কুওমো নিজের পরাজয় স্বীকার করে নিয়েছেন।

জোহরানের জয় নিশ্চিত দেখে তার বিরোধীরা ময়দানে নেমেছেন। সামাজিক মাধ্যমে বোরখা পরা স্ট্যাচু অফ লিবার্টির ছবি শেয়ার করা হচ্ছে। তাদের বিরোধীদের দাবি, যদি মামদানি জেতেন, তাহলে স্ট্যাচু অফ লিবার্টিকে বোরখায় মোড়া অবস্থায় দেখা যাবে।

জোহরান মামদানি কে?
বিখ্যাত ভারতীয়-আমেরিকান চলচ্চিত্র নির্মাতা মীরা নায়ার জোহরান মামদানির মা। জোহরান মীরা নায়ার এবং মাহমুদ মামদানির ছেলে। মাহমুদ উগান্ডার বাসিন্দা বলে জানা যায়, কিন্তু তিনি মূলত গুজরাটের বাসিন্দা। ৩৩ বছর বয়সী গুজরাটি বংশোদ্ভূত মুসলিম জোহরান মামদানি যদি গভর্নর নির্বাচিত হন, তাহলে তিনি নিউইয়র্কের ইতিহাসে প্রথম ভারতীয় আমেরিকান এবং মুসলিম মেয়র হবেন।

নিউইয়র্কে আসবে ইসলামিক সংস্কৃতি?
জোহরান মামদানির জনপ্রিয়তা এবং নিশ্চিত জয় দেখে ট্রাম্পের সমর্থকরা চিন্তিত। ট্রাম্প সমর্থক ইউজার ডন কিথ সামাজিক মাধ্যমে লিখেছেন, “অভিনন্দন নিউইয়র্ক, এখন এই শহরেও ইসলামিক সংস্কৃতি আসবে। স্ট্যাচু অফ লিবার্টিকে বোরখা পরা অবস্থায় দেখা যাবে।” মূলত, ট্রাম্প সমর্থকরা একটি ভিন্ন পরিবেশ তৈরির চেষ্টা করছেন। সমর্থকরা এটিকে ৯/১১-এর ঘটনার সঙ্গে যুক্ত করার চেষ্টা করছেন। এর পরেও জোহরানের জনপ্রিয়তা দ্রুত বাড়ছে।

ট্রাম্পও বিরোধিতায় নেমেছেন
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও জোহরানের বিরোধিতা করেছেন। তিনি সামাজিক মাধ্যমে লিখেছেন, “জোহরান মামদানি ১০০ শতাংশ কমিউনিস্ট পাগল। সে ডেম প্রাইমারি জিতেছে এবং মেয়র হওয়ার পথে।” ট্রাম্প আরও বলেন যে, আমাদের কট্টরপন্থী কমিউনিস্ট ছিল, কিন্তু এটি কিছুটা হাস্যকর হয়ে যাচ্ছে। এটি সহ্য করা কঠিন।

মামদানি ট্রাম্পের পাল্টা জবাব দিয়েছেন
জোহরান মামদানি ইসরায়েল-ইরান যুদ্ধের সময় খোলামেলা কথা বলেছিলেন। তিনি ইসরায়েলের প্রকাশ্য বিরোধিতা করেছিলেন। একই সাথে, ট্রাম্পের ইসরায়েলের পাশে দাঁড়ানো নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিলেন। তিনি ডোনাল্ড ট্রাম্পের পাল্টা জবাব দিয়ে বলেছেন যে, “আমি ট্রাম্পের জন্য একটি দুঃস্বপ্ন, কারণ আমি একজন প্রগতিশীল এবং মুসলিম অভিবাসী এবং আমি যে জিনিসগুলিতে বিশ্বাস করি সেগুলির জন্য লড়াই করি।”

Oh look. The Statue of Liberty in a burqa. (Not that the statue isn’t already an evil thing) …(That’s not the current point – research its history). The point: why do New Yorkers hate themselves so much that they elect people that make their city worse? It’s unfathomable. pic.twitter.com/EqpigZCEbN

— His Messenger (@HisMessenger) June 25, 2025