পাকিস্তানের জাতীয় পশু মারখোর, যা এক ধরণের বুনো ছাগল এবং হিমালয়ের মতো এলাকায় পাওয়া যায়। এই বুনো ছাগল মারখোর সাপের বড় শত্রু, এর সাথে এই বুনো ছাগল মারখোরের সম্পর্ক পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই (ISI)-এর সাথে জড়িত।

এই পোস্টের মাধ্যমে আমরা আপনাকে এই বুনো ছাগল মারখোর এবং এই ছাগলের সাথে আইএসআই-এর কী সম্পর্ক রয়েছে, সে সম্পর্কে তথ্য দিতে যাচ্ছি।

এই ছাগলটি পাকিস্তানের জাতীয় পশু
মারখোর একটি ফার্সি শব্দ যার অর্থ “সাপ ভক্ষণকারী” বা “সর্প-হত্যাকারী”। পাকিস্তানের জাতীয় পশু মারখোর সম্পর্কে বলা হয় যে, এই ছাগল সাপ খুঁজে বের করে এবং তাকে মেরে চিবিয়ে খায়। এই কারণেই বলা হয় যে যেখানে মারখোর ছাগল থাকে, সেখানে সাপ দেখা যায় না।

জনশ্রুতি অনুসারে, এই প্রাণীটি তার সর্পিল শিং দিয়ে সাপকে মারতে এবং তারপর সাপকে খেয়ে ফেলতে সক্ষম। মানুষ এটিও বিশ্বাস করে যে এটি সাপের বিষ বের করতে সাহায্য করে। প্রতিবেদন অনুসারে, এই মারখোর ছাগল সাপকে তার শক্তিশালী খুর দিয়ে মারে, এবং অনেক সময় সাপকে মারার জন্য তার বাঁকা মজবুত শিংও ব্যবহার করে।

এই ছাগল এই এলাকায় পাওয়া যায়
মারখোর ছাগলের উচ্চতা ৪৫ ইঞ্চি পর্যন্ত হয়, যেখানে দৈর্ঘ্য ৭৩ ইঞ্চি এবং ওজন ১১০ কেজি পর্যন্ত হয়। এটি ২০০০ থেকে ১১,৮০০ ফুট উচ্চতার পাহাড়ী এলাকায় সবচেয়ে বেশি পাওয়া যায়। এছাড়া, মারখোর উত্তর অঞ্চলেও পাওয়া যায়, এবং এই ছাগল ভারত, আফগানিস্তান, উজবেকিস্তান, তাজিকিস্তানের কিছু অংশেও দেখা যায়।

এই ছাগলটিকে জাতীয় পশু ঘোষণা করার কারণ হলো শিকারের কারণে এদের জনসংখ্যা কমে যাচ্ছিল। শিকারীরা এই ছাগলের অনন্য শিংয়ের কারণে অবৈধ শিকার করে এবং শিং বিক্রি করে।

আইএসআই-এর সাথে এই ছাগলের গভীর সম্পর্ক
পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই (ISI)-এর সাথে এই ছাগলের সম্পর্ক আইএসআই-এর লোগো-র সাথে, যেখানে একটি সাপ চিবানো অবস্থায় মারখোর দেখা যায়। পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই-এর লোগোতে মারখোর ছাগলকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে কারণ, এটি একটি পাহাড়ী ছাগল এবং পাকিস্তানের জাতীয় পশু। দ্বিতীয় কারণ হলো, এটির সাপকে চিবিয়ে খেয়ে ফেলার প্রবণতা। পাকিস্তানের মানুষ বলে যে, লোগোতে মারখোরকে অন্তর্ভুক্ত করার অর্থ হলো, আইএসআই পাকিস্তানি এবং মুসলিম হওয়ার আড়ালে লুকিয়ে থাকা পাকিস্তানের বিশ্বাসঘাতকদের (আস্তিনের সাপদের) ধরে শিকড় থেকে নির্মূল করে দেয়।