চীনের সাথে চুক্তি সম্পন্ন, এবার ভারতের পালা! বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বড় ঘোষণা

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং চীনের মধ্যে বৃহস্পতিবার বাণিজ্য চুক্তি চূড়ান্ত হয়েছে। এর সাথে তিনি ইঙ্গিত দিয়েছেন যে, ভারতের সাথে শীঘ্রই একটি বড় চুক্তি হতে পারে।
তিনি তার ভাষণে দাবি করেন যে, আমেরিকার সাথে সবাই চুক্তি করতে চায় এবং তার অংশ হতে চায়।
ট্রাম্প বলেন যে, কিছু সময় আগে তার এই প্রস্তাব নিয়ে প্রশ্ন তোলা হচ্ছিল। সংবাদমাধ্যম বলছিল ‘সত্যিই কি এমন কেউ আছে যার এতে আগ্রহ আছে?’ আজ দেখুন, আমরা চীনের সাথে এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছি। তিনি বলেন যে, আমাদের কাছে আরও কিছু চুক্তি আছে যা হয়তো ভারতের সাথে সম্ভব। যদিও তিনি চীনের সাথে হওয়া এই চুক্তি সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু বলেননি।
‘বিগ বিউটিফুল বিল’ কী?
চীনের সাথে চুক্তির বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে তিনি এও স্পষ্ট করেছেন যে, প্রতিটি অন্য দেশের সাথে চুক্তি করা হবে না। কিছু দেশের জন্য আমাদের কাছে কেবল ধন্যবাদ পত্রই থাকবে। তিনি তার বাণিজ্য চুক্তি সম্পর্কে তথ্য দিতে গিয়ে বলেন যে, এই চুক্তিতে আপনাকে ২৫ শতাংশ থেকে ৪৫ শতাংশ পর্যন্ত অর্থ প্রদান করতে হবে। এটি খুব সহজ এবং কার্যকর পদ্ধতি, কিন্তু তবুও কিছু লোক এটি করতে চায় না। তিনি বলেন যে, আমরা ভারতের সাথে কিছু বড় চুক্তি করতে পারি।
ডোনাল্ড ট্রাম্প তার ভাষণে চীনের সাথে হওয়া চুক্তি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দেননি, তবে হোয়াইট হাউসের একজন কর্মকর্তা এই চুক্তি সম্পর্কে কিছু কথা বলেছেন। তিনি বলেন যে, এটি চীন থেকে যুক্তরাষ্ট্রে বিরল প্রাকৃতিক খনিজ পদার্থের চালান ত্বরান্বিত করার উপর কেন্দ্র করে ছিল। সংবাদ সংস্থা রয়টার্স কর্মকর্তার উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছে যে, প্রশাসন এবং চীন জেনেভা চুক্তি বাস্তবায়নের জন্য একটি অতিরিক্ত বোঝাপড়ার বিষয়ে সম্মত হয়েছে। এই বিলটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘বিগ বিউটিফুল বিল’।
উভয় দেশই লাভবান হবে
হোয়াইট হাউসের আরেক কর্মকর্তা জানিয়েছেন যে, আমেরিকা-চীন চুক্তিটি এই সপ্তাহের শুরুতে চূড়ান্ত করা হয়েছিল এবং এটি চীনা চালান পুনরায় শুরু করার বিনিময়ে মার্কিন শুল্ক কমাতে সাহায্য করবে। মার্কিন বাণিজ্য সচিব হাওয়ার্ড লুটনিক বলেছেন যে, তারা আমাদের বিরল খনিজ পদার্থ সরবরাহ করতে যাচ্ছে এবং একবার তারা এটি করলে, আমরা আমাদের পাল্টা ব্যবস্থা সরিয়ে নেব। যদিও এই বিষয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বা চীনের পক্ষ থেকে কোনো তথ্য দেওয়া হয়নি। তবে এই চুক্তিটি উভয় দেশের মধ্যে সম্পর্ক উন্নতির সম্ভাবনা দেখাচ্ছে।