‘সীমান্তে শান্তি বজায় রাখা উভয় দেশের স্বার্থে’, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং-এর চীনকে কড়া বার্তা

সাংহাই সহযোগিতা সংস্থার (Shanghai Cooperation Organisation) বৈঠকে ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং এবং চীনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ডং জুন-এর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই বৈঠক চীনের কিংদাও শহরে আয়োজিত হয়েছিল।
বৈঠকের সময় রাজনাথ সিং স্পষ্টভাবে বলেন যে, ভারত ও চীনের যেকোনো নতুন উত্তেজনা এড়ানো উচিত এবং সীমান্তে শান্তি বজায় রাখা উভয় দেশের স্বার্থে।
ছয় বছর পর আবার শুরু হবে কৈলাস মানস সরোবর যাত্রা
এই আলোচনার সময় কৈলাস মানস সরোবর যাত্রা নিয়েও আলোচনা হয়। এই যাত্রা গত ছয় বছর ধরে স্থগিত ছিল। রাজনাথ সিং জানান যে, এখন এই ধর্মীয় যাত্রা আবার শুরু করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, ২০২০ সালে কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে এই যাত্রা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। এরপর গালওয়ান উপত্যকায় ভারত-চীন সামরিক সংঘাতের কারণে এটি আবার শুরু করা যায়নি। এখন যখন আবার আলোচনার প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে, তখন যাত্রার পুনরায় শুরু হওয়াকে একটি ইতিবাচক লক্ষণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
ভারত আবার তার অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করল
রাজনাথ সিং-এর এই বৈঠক এমন এক সময়ে হয়েছে যখন ভারত ও চীনের মধ্যে সীমান্ত বিরোধ পুরোপুরি সমাধান হয়নি। তিনি দ্ব্যর্থহীনভাবে বলেন যে, সীমান্তে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখা জরুরি। উভয় দেশকে যেকোনো ধরনের সংঘাতের পরিস্থিতি এড়ানো উচিত।
চীনকে মধুবনী পেইন্টিং উপহার
বৈঠকের সময় রাজনাথ সিং চীনের প্রতিরক্ষামন্ত্রীকে বিহারের ঐতিহ্যবাহী মধুবনী পেইন্টিং উপহার দেন। এই শিল্পটিকে মিথিলা পেইন্টিংও বলা হয়, যা বিহারের মিথিলা অঞ্চলে প্রচলিত। এই চিত্রশিল্প তার সূক্ষ্ম নকশা, উজ্জ্বল রঙ এবং ঐতিহ্যবাহী উপজাতি চিত্রের জন্য পরিচিত।
এসসিও নথিতে ভারত স্বাক্ষর করেনি
এসসিও প্রতিরক্ষামন্ত্রীদের এই বৈঠকে যখন একটি যৌথ নথিতে স্বাক্ষরের পালা আসে, তখন রাজনাথ সিং তাতে স্বাক্ষর করতে অস্বীকার করেন। রিপোর্ট অনুযায়ী, নথিতে সন্ত্রাসবাদের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টিকে দুর্বলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছিল, যা ভারতের কঠোর নীতির পরিপন্থী ছিল। এই কারণেই ভারত এতে অংশ নেয়নি।