প্রযুক্তির চেয়েও বেশি ধূর্ত প্রমাণিত হলো খামেনেইয়ের মস্তিষ্ক, ইসরায়েল চাইলেও এই কারণে আঘাত হানতে পারল না

ইরানের সাথে যুদ্ধে ইসরায়েল সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনেইকে হত্যার চেষ্টা করেছিল, কিন্তু খামেনেইয়ের ধূর্ত মস্তিষ্কের কারণে ইসরায়েল তাদের উদ্দেশ্য সফল করতে পারেনি। এই তথ্য স্বয়ং ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ক্যাটজ প্রকাশ করেছেন।
ক্যাটজের মতে, “খামেনেইকে মারার জন্য আমরা প্রতিটি দিক থেকে চেষ্টা করেছিলাম, কিন্তু সফলতা পাইনি।”
ইসরায়েলের চ্যানেল-১২ কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ক্যাটজ বলেন যে, “প্রথম দিন থেকেই আমাদের চেষ্টা ছিল খামেনেইকে মেরে ইরানকে বড় ধাক্কা দেওয়া, কিন্তু খামেনেই ধূর্ত প্রমাণিত হলেন এবং ভূগর্ভে চলে গেলেন।”
নতুন কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন
ক্যাটজের মতে, “আমেরিকা এই বিবৃতি অবশ্যই দিয়েছে যে, আমরা খামেনেইকে মারতে চাই না, কিন্তু তাকে মারার জন্য আমাদের কোনো দেশের অনুমতির প্রয়োজন ছিল না। আমরা যখন ইরানের সামরিক কমান্ডারদের মারলাম, তখন থেকেই খেলা খারাপ হয়ে গেল।”
“খামেনেই নিহত সামরিক কর্মকর্তাদের বদলে যাদের নিয়োগ করলেন, তাদের মাধ্যমে খামেনেইয়ের অবস্থান সম্পর্কে তথ্য পাওয়ার আশা ছিল আমাদের, কিন্তু পুরো যুদ্ধে খামেনেই নতুন কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগই করেননি। এই কারণেই আমাদের লোকেরা খামেনেইয়ের অবস্থান খুঁজে বের করতে পারেনি, যার ফলে তিনি বেঁচে গেছেন।”
বাঙ্কারে ওয়ালি-ই-আমর-এর তত্ত্বাবধানে খামেনেই
১৩ জুন ইসরায়েলি হামলা শুরু হওয়ার সাথে সাথেই খামেনেই তেহরানের কাছে একটি বাঙ্কারে চলে যান। ইরান ইন্টারন্যাশনালের মতে, খামেনেই নিজের নিরাপত্তার দায়িত্ব বিশেষ বাহিনী ওয়ালি-ই-আমর-এর হাতে তুলে দেন। ওয়ালি-ই-আমরকে ইরানের সবচেয়ে শক্তিশালী নিরাপত্তা বাহিনী হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
এই সংগঠনে প্রায় ১২ হাজার সেনা রয়েছে, যাদের সর্বোচ্চ নেতার নিরাপত্তার জন্য তৈরি করা হয়েছে। বলা হয় যে, বাঙ্কারে লুকিয়ে থাকার পর খামেনেই তার লোকদের সাথে কেবল শারীরিকভাবেই দেখা করতেন। অর্থাৎ, তার নিরাপত্তারক্ষীরা ফোন দূরে সরিয়ে রাখতেন।
অ্যাক্সিয়োস মার্কিন বাঙ্কার বাস্টার বোমা পড়ার পর একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছিল। এই রিপোর্টে বলা হয়েছিল যে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট বোমা ফেলার আগে খামেনেইয়ের কাছ থেকে চুক্তির বিষয়ে সম্মতি চেয়েছিলেন, কিন্তু ইরানের প্রেসিডেন্ট পেজেশকিয়ান এই বলে প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন যে, তার সর্বোচ্চ নেতার সাথে কোনো যোগাযোগ নেই।