ট্রাম্পকে খুশি করার কৌশল? বাংলাদেশ উচ্চ মূল্যে মার্কিন পণ্য কিনতে পারে, চলছে দর কষাকষি

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে খুশি করার জন্য বাংলাদেশ নতুন কৌশল অবলম্বন করছে। তারা আমেরিকা থেকে অন্তত দুটি পণ্য উচ্চ মূল্যে কেনার পরিকল্পনা করছে। এ বিষয়ে আলোচনা ও দর কষাকষি চলছে।
বাংলাদেশি সংবাদমাধ্যম প্রথম আলো জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার ঢাকায় সচিবালয়ে মুহাম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের খাদ্য সচিব মাসুদুল হাসানের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। শুল্ক কমানোর আশায় বাংলাদেশ আমেরিকা থেকে উচ্চ মূল্যে গম এবং বিমান কিনতে পারে।
কেন এই কৌশল?
বাংলাদেশি পণ্য ইতোমধ্যেই ১৫ শতাংশ শুল্কে আমেরিকায় রপ্তানি করা হয়। কিন্তু ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর এপ্রিলে বিভিন্ন দেশের উপর পারস্পরিক শুল্ক আরোপ করেন। বাংলাদেশি পণ্যের উপর ৩৭ শতাংশ অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করা হয়। ফলস্বরূপ, বাংলাদেশি পণ্যের উপর মোট মার্কিন শুল্ক ৫২ শতাংশে পৌঁছেছে। তবে, ট্রাম্প এই শুল্ক তিন মাসের জন্য স্থগিত করেছেন। আমেরিকা এই তিন মাস ধরে বাণিজ্য নিয়ে বিভিন্ন দেশের সাথে আলোচনা করছে। বাংলাদেশও শুল্ক কমানোর চেষ্টা করছে।
উচ্চ মূল্যে পণ্য কেনার পরিকল্পনা
বাংলাদেশি সংবাদমাধ্যম অনুসারে, বৃহস্পতিবারের বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে, সরকার-থেকে-সরকার (G2G) পর্যায়ে আমেরিকা থেকে তিন লক্ষ টন গম আমদানি করা হবে। অন্যান্য জায়গা থেকে যে দামে গম কেনা হয়, তার চেয়ে বেশি দাম আমেরিকাকে দেওয়া হবে। একই সাথে, আমেরিকার বোয়িং কো ম্পা নি থেকে বিমান কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এছাড়াও, ঢাকা আমেরিকা থেকে তুলা আমদানির প্রক্রিয়া সহজ করতে পারে।
তবে, এর মধ্যে কোনো বিষয়েই এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। বিষয়টি আলোচনার পর্যায়ে রয়েছে। ২৯ জুন আমেরিকার সাথে আলোচনার পর নতুন শুল্ক হার নির্ধারিত হতে পারে। বাংলাদেশ সাধারণত রাশিয়া এবং ইউক্রেন থেকে গম আমদানি করে। এই দুটি দেশ থেকে গমের দাম তুলনামূলকভাবে কম। সূত্র অনুযায়ী, যদি আমেরিকা থেকে গম কেনা হয়, তাহলে বাংলাদেশকে প্রতি টনে ২০ থেকে ২৫ ডলার বেশি খরচ করতে হবে, যা ভারতীয় মুদ্রায় ১৭০০ থেকে ২১০০ টাকার সমান। যদিও, মার্কিন গমের খাদ্যগুণ রাশিয়ান বা ইউক্রেনীয় গমের চেয়ে ভালো। বাংলাদেশি কর্মকর্তাদের মতে, শুল্ক এবং বাণিজ্য নিয়ে আমেরিকার সাথে তাদের আলোচনা ইতিবাচক পর্যায়ে রয়েছে। এর সুবিধা শীঘ্রই দেখা যেতে পারে।