৯০ দিন চিনি ছাড়লে শরীরে কী ঘটে? অবাক করা পরিবর্তন!

চিনি আমাদের দৈনন্দিন খাদ্যের একটি বড় অংশ, কিন্তু এই অতি-প্রক্রিয়াজাত খাদ্যদ্রব্য শরীরের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। যদি ৯০ দিন ধরে টেবিল চিনি, উচ্চ-ফ্রুক্টোজ কর্ন সিরাপ, এমনকি মধুর মতো প্রাকৃতিক মিষ্টি থেকে দূরে থাকা যায়, তবে শরীরে আশ্চর্যজনক পরিবর্তন দেখা যায়। প্রথম কয়েক দিন মাথাব্যথা, বিরক্তি, ক্লান্তি বা মিষ্টির প্রতি তীব্র আকাঙ্ক্ষা অনুভূত হতে পারে, কারণ মস্তিষ্ক শক্তির জন্য চিনির উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ে। তবে, প্রায় ২১ দিনের মধ্যে শরীর এই পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেয়, এবং ৬৬ দিনে নতুন অভ্যাস পাকাপোক্ত হয়। ডাক্তাররা জানিয়েছেন, চিনি ছাড়ার ফলে ওজন কমে, ইনসুলিন সংবেদনশীলতা উন্নত হয়, এবং শক্তির স্তর স্থিতিশীল থাকে। এছাড়া, ত্বক পরিষ্কার হয়, হজমশক্তি ভালো হয়, এবং দাঁতের স্বাস্থ্য উন্নত হয়।
দ্বিতীয় বা তৃতীয় সপ্তাহের মধ্যে অনেকেই ভালো ঘুম, পরিষ্কার ত্বক, এবং মেজাজের স্থিতিশীলতার কথা জানান। ইনসুলিনের মাত্রা স্বাভাবিক হওয়ায় রক্তে শর্করার নিয়ন্ত্রণ উন্নত হয়, এবং পেটের চারপাশের চর্বি কমে ওজন হ্রাস পায়। চিনি ছাড়ার মানে এই নয় যে কার্বোহাইড্রেট পুরোপুরি বন্ধ করতে হবে। প্রাকৃতিক উৎস যেমন ফল, শাকসবজি ও শস্য থেকে প্রয়োজনীয় কার্বোহাইড্রেট পাওয়া যায়। তবে, প্যাকেটজাত জুস, ক্যান্ডি, বিস্কুট বা টরটilasর মতো প্রক্রিয়াজাত খাবার এড়িয়ে চলা জরুরি। এই পরিবর্তন শরীরের অন্ত্রে ভালো ব্যাকটেরিয়ার ভারসাম্য বাড়ায়, যা হজমে সহায়তা করে। ৯০ দিন পর শরীর আরও সতেজ ও শক্তিমান বোধ করে, যা জীবনযাত্রার মান উন্নত করে।