৮.৫০ লক্ষ জাল অ্যাকাউন্টে সিবিআইয়ের মেগা অভিযান! কীভাবে চলছে র্যাকেট?

সিবিআই দেশজুড়ে ৭০০টির বেশি ব্যাংক শাখায় ৮.৫০ লক্ষ খচ্চর অ্যাকাউন্ট চিহ্নিত করে সাইবার অপরাধের বিরুদ্ধে বড় ধরনের অভিযান চালিয়েছে। এই অ্যাকাউন্টগুলি ডিজিটাল চুরি, ছদ্মবেশ, জালিয়াতি বিনিয়োগ এবং ইউপিআই-ভিত্তিক জালিয়াতির মাধ্যমে অর্থ পাচারের জন্য ব্যবহৃত হয়েছে। রাজস্থান, দিল্লি, হরিয়ানা, উত্তরাখণ্ড ও উত্তর প্রদেশের ৪২টি স্থানে সমন্বিত তল্লাশি অভিযানে মধ্যস্থতাকারী, এজেন্ট, সমষ্টিকারী, অ্যাকাউন্টধারী ও ব্যাংকিং সংবাদদাতাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। সিবিআইয়ের ‘অপারেশন-৫’ এই অভিযানের অংশ, যা জাল পরিচয়পত্র ব্যবহার করে খোলা এই অ্যাকাউন্টগুলির মাধ্যমে ভুক্তভোগীদের অর্থ পাচারের র্যাকেট উন্মোচন করেছে। তদন্তে দেখা গেছে, কিছু ব্যাংক কর্মকর্তা ও ই-মিত্র এজেন্ট এই জালিয়াতিতে সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন। এই অভিযানে মোবাইল ফোন, ব্যাংক নথি, কেওয়াইসি নথি ও ডিজিটাল প্রমাণ জব্দ করা হয়েছে।
সিবিআই জানিয়েছে, এই খচ্চর অ্যাকাউন্টগুলি একবার ব্যবহারের পর বন্ধ করে দেওয়া হয়, যা অপরাধীদের ধরা কঠিন করে। তদন্তে প্রকাশ পেয়েছে, ব্যাংকগুলো কেওয়াইসি নিয়ম, গ্রাহক যাচাই বা ঝুঁকি মূল্যায়নে ব্যর্থ হয়েছে। কিছু ব্যাংক কর্মকর্তা সন্দেহজনক লেনদেনে যথাযথ সতর্কতা অবলম্বন করেননি, এমনকি গ্রাহকের ঠিকানা যাচাইয়ে অবহেলাও করেছেন। সিবিআই এই র্যাকেটের কাঠামো উন্মোচন ও প্রাতিষ্ঠানিক ত্রুটি মূল্যায়নের জন্য তদন্ত শুরু করেছে। আইপিসি ও দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের অধীনে এফআইআর দায়ের করে সিবিআই জালিয়াতি, ষড়যন্ত্র ও অসদাচরণের অভিযোগে পদঅভিযান চালিয়েছে। এই অভিযান সাইবার অপরাধের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপের ইঙ্গিত দেয়।