কর্ণাটকের পুরুষ মহাদেশ্বর পাহাড়ের বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যে এক বাঘিনী ও তার চারটি শাবকের মৃত্যুতে স্তম্ভিত বন বিভাগ। কর্মকর্তারা সন্দেহ করছেন, গ্রামবাসীদের বিষ মেশানো টোপ খাওয়ার ফলে এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে। বাঘিনীটি কয়েকদিন আগে একটি গরু শিকার করেছিল, এবং ধারণা করা হচ্ছে, সেই মৃতদেহে বিষ মিশিয়ে ফাঁদ পাতা হয়েছিল। শুক্রবার ময়নাতদন্তের মাধ্যমে মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত করা হবে। কর্ণাটকের বনমন্ত্রী ঈশ্বর খান্দ্রে এই ঘটনাকে ‘হতবাক ও দুঃখজনক’ আখ্যা দিয়ে উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। তিন দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এই অঞ্চলে মানুষ-প্রাণী সংঘাত ক্রমশ তীব্র হচ্ছে, যার ফলে কিছু গ্রামবাসী বিষ প্রয়োগ বা ফাঁদের মতো পন্থা অবলম্বন করছে। খান্দ্রে জানিয়েছেন, তদন্তে বন কর্মকর্তাদের অবহেলা বা বিষক্রিয়ার প্রমাণ পাওয়া গেলে দায়ীদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়ের করা হবে। কর্ণাটকে ৫৬৩টি বাঘের সঙ্গে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম শিকারী জনসংখ্যা রয়েছে, তবে বাঘের আবাসস্থল চাপের মুখে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মহাদেশ্বর অভয়ারণ্যে বাঘ সংরক্ষণের মর্যাদা না থাকায় বাণিজ্যিক কার্যকলাপ বাধাহীন চলছে, যা সংরক্ষণ প্রচেষ্টাকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে।