‘টুইটার কিলার’র ফাঁসি! আত্মহত্যার প্রলোভনে নারীদের হত্যা

‘টুইটার কিলার’র ফাঁসি! আত্মহত্যার প্রলোভনে নারীদের হত্যা

জাপানের কুখ্যাত ‘টুইটার কিলার’ তাকাহিরো শিরাইশির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়েছে, যা ২০২২ সালের পর দেশটির প্রথম ফাঁসির ঘটনা। ৩৪ বছর বয়সী শিরাইশি ২০১৭ সালে নয়জন নারীকে টোকিওর কাছে তার অ্যাপার্টমেন্টে নিয়ে গিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন, তাদের দেহ টুকরো করে কুলারে লুকিয়ে রাখেন এবং কিছু অংশ আবর্জনার স্তূপে ফেলে দেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় আত্মহত্যার প্রবণতা থাকা ১৫ থেকে ২৬ বছর বয়সী নারীদের টার্গেট করে তিনি তাদের মৃত্যুতে ‘সাহায্য’ করার প্রলোভন দেখাতেন। বিচারমন্ত্রী কেইসুকে সুজুকি জানান, শিরাইশি নিজের যৌন ও আর্থিক আকাঙ্ক্ষা পূরণের জন্য এই নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছিলেন। ২০১৭ সালে এক নারীর নিখোঁজ হওয়ার তদন্তে পুলিশ শিরাইশির কাছে পৌঁছে এই অপরাধের পর্দা ফাঁস করে।

শিরাইশির আইনজীবীরা দাবি করেছিলেন, শিকাররা আত্মহত্যায় সম্মতি দিয়েছিলেন, তবে আদালত এই যুক্তি খারিজ করে। জাপানে মৃত্যুদণ্ডের পক্ষে ৮৩% জনসমর্থন রয়েছে, যা ২০২৪ সালের একটি সরকারি জরিপে প্রকাশ পেয়েছে। তবে, ফাঁসির প্রক্রিয়া নিয়ে সমালোচনা রয়েছে, কারণ বন্দীদের কয়েক ঘণ্টা আগে জানানো হয় এবং বছরের পর বছর নির্জন কারাগারে থাকতে হয়, যা মানসিক সমস্যার কারণ হয়। শিরাইশির ফাঁসি জাপানের বিচার ব্যবস্থায় মৃত্যুদণ্ডের প্রয়োগ নিয়ে নতুন বিতর্ক উসকে দিয়েছে। এই ঘটনা সোশ্যাল মিডিয়ার অপব্যবহার এবং নারী সুরক্ষার বিষয়েও গুরুতর প্রশ্ন তুলেছে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *