সাউথ কলকাতা ল কলেজে নিগৃহীতা তরুণী ২৫ জুনের সেই ভয়াবহ সন্ধ্যার ঘটনা বর্ণনা করেছেন। পরীক্ষার ফর্ম পূরণের জন্য দুপুর ১২:০৫-এ কলেজে পৌঁছান তিনি। ফর্ম জমা দেওয়ার পর ইউনিয়ন রুমে বসেন। কিছুক্ষণ পর মূল অভিযুক্ত মনোজিৎ মিশ্র, যিনি কলেজের প্রাক্তনী এবং বর্তমানে কর্মী, রুমে প্রবেশ করেন। তিনি কলেজের টিএমসিপি ইউনিটের পদ বণ্টনের দায়িত্বে ছিলেন এবং নির্যাতিতাকে গার্লস সেক্রেটারির পদ দেওয়া হয়। তরুণী জানান, বিকেল চারটার দিকে তিনি কলেজ থেকে বের হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন, কিন্তু একজনের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে ইউনিয়ন রুমের সামনে বসে পড়েন। এই সময় মনোজিৎ বিস্কুটের প্যাকেট হাতে ফিরে আসেন এবং জরুরি কথা বলার কথা বলে তাকে রুমের ভেতরে ডেকে নেন।

এই ঘটনা পূর্বপরিকল্পিত নিগ্রহের একটি ভয়ঙ্কর ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত দেয়। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মনোজিৎ ছাত্রীকে ভয় দেখিয়ে এবং প্রলোভন দেখিয়ে তাকে আটকে রাখেন। এই ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, এবং তদন্তে ফরেনসিক প্রমাণ সংগ্রহ করা হচ্ছে। নির্যাতিতার বিবরণে কলেজের নিরাপত্তা ও টিএমসিপি ইউনিটের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এই ঘটনা নারী নিরাপত্তা এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শৃঙ্খলা নিয়ে গুরুতর উদ্বেগ তৈরি করেছে। তদন্ত এখনও চলছে, এবং কর্তৃপক্ষ এই মামলায় ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।