৩০ বছর ধরে পেটে আরেকজনের ভ্রূণ! অস্ত্রোপচারে যা বের হলো, দেখে চমকে উঠলেন চিকিৎসকেরা

মহারাষ্ট্রের নাগপুরে ঘটে যাওয়া এক বিরল ঘটনা চিকিৎসকদের হতবাক করে দিয়েছে। ছোটবেলা থেকেই পেটে অস্বাভাবিক ফোলাভাব ছিল সঞ্জু ভগত নামের এক ব্যক্তির। গ্রামের লোকজন তাঁকে ‘গর্ভবতী পুরুষ’ বলে ডাকতেন, যা তাঁর জন্য খুবই বিব্রতকর ছিল। ১৯৯৯ সালে, যখন তাঁর শ্বাসকষ্ট শুরু হয় এবং পেটের ফোলাভাব গুরুতর আকার ধারণ করে, তখন তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসকেরা প্রথমে টিউমারের আশঙ্কা করেছিলেন, কিন্তু অস্ত্রোপচারের পর পেটের ভেতর যা পাওয়া গেল তা ছিল অবিশ্বাস্য।
অস্ত্রোপচারের সময় চিকিৎসকেরা সঞ্জু ভগবতের পেট থেকে এক মৃত যমজ ভ্রূণ বের করেন, যার মধ্যে ছিল হাত, পা, হাড়, চুল এবং শরীরের অন্যান্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ। এই বিরল ঘটনাকে চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় ‘ভ্যানিশিং টুইন সিনড্রোম’ বলা হয়। এটি এমন এক অবস্থা যেখানে মাতৃগর্ভে যমজ ভ্রূণের একটি অপরটির দেহে মিশে যায়। এই ধরনের ঘটনা ৫০ লক্ষ মানুষের মধ্যে মাত্র একজনের ক্ষেত্রে দেখা যায়। এই অকল্পনীয় ঘটনা বিজ্ঞানীদের কৌতূহল বাড়িয়েছে এবং চিকিৎসা জগতে নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে।