গাজায় আগামী সপ্তাহেই যুদ্ধবিরতি? মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বড় দাবি ঘিরে চাঞ্চল্য

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেছেন যে, গাজায় ইসরায়েল এবং হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তিনি বলেছেন, আগামী সপ্তাহের শুরুতেই এই চুক্তি সম্পাদিত হতে পারে। কঙ্গো-রুয়ান্ডা চুক্তি উদযাপন উপলক্ষে হোয়াইট হাউসে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ট্রাম্প এই মন্তব্য করেন, যা আন্তর্জাতিক মহলে নতুন করে আশা জাগিয়েছে।
গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে ট্রাম্প আত্মবিশ্বাসের সাথে বলেন, “আমরা মনে করি, আমরা আগামী সপ্তাহে যুদ্ধবিরতি অর্জন করব।” উল্লেখ্য, কয়েক মাস আগে বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ক্ষমতা ছাড়ার পর আমেরিকা ইরান-ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি করিয়েছিল। তবে ইসরায়েল কয়েক মাস পর সেই যুদ্ধবিরতি শেষ করে গাজায় আবার হামলা শুরু করে। প্রায় ২০ মাস ধরে চলা এই সংঘাতে ইসরায়েলের ১,২০০ নাগরিক নিহত হয়েছেন, অন্যদিকে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, গাজায় অন্তত ৫৬,৩৩১ জন প্রাণ হারিয়েছেন, যাদের অধিকাংশই সাধারণ নাগরিক।
সহায়তা কেন্দ্রেও মৃত্যুর ঘটনা:
নিউজ এজেন্সি ‘এএফপি’-র রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রায় ২ মাস ধরে গাজা অবরুদ্ধ থাকার পর ইসরায়েল মানবিক সংস্থাগুলোর মাধ্যমে খাদ্য সরবরাহ পুনরায় শুরু করার অনুমতি দিয়েছে। এর মধ্যে ইসরায়েলি সেনাদের সাথে কাজ করা আমেরিকান নিরাপত্তা ঠিকাদাররাও যুক্ত আছেন। তবে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, মে ২০২৫-এর শেষ থেকে এখন পর্যন্ত সহায়তা কেন্দ্রগুলির কাছে সাহায্য নিতে আসা প্রায় ৫০০ মানুষ নিহত হয়েছেন।
এরই মধ্যে আমেরিকা বৃহস্পতিবার, ২৬শে জুন ২০২৫ তারিখে ঘোষণা করেছে যে তারা গাজায় ৩০ মিলিয়ন ডলারের তহবিল দিয়ে সাহায্য পাঠাবে। রিপোর্ট অনুযায়ী, ট্রাম্প শুক্রবার, ২৭শে জুন ২০২৫ তারিখে বলেছেন, “আপনারা জানেন, আমরা সেই অঞ্চলে প্রচুর অর্থ ও খাদ্য সরবরাহ করছি।” ইসরায়েলি সংবাদপত্র ‘হারেৎজ’-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, কিছু অজ্ঞাত সেনা দাবি করেছেন যে, তাদের কমান্ডাররা তাদের সাহায্য বিতরণ স্থানগুলিতে ভিড় ছত্রভঙ্গ করার জন্য গুলি চালানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন, এমনকি সেখানে কোনো বিপদ না থাকলেও। যদিও প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এই রিপোর্ট অস্বীকার করেছেন।